এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হাওড়া জেলায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার দলীয় সভায় অনুপস্থিত, গোষ্ঠীদ্বন্দের ইঙ্গিত কি প্রবল হচ্ছে?

হাওড়া জেলায় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার দলীয় সভায় অনুপস্থিত, গোষ্ঠীদ্বন্দের ইঙ্গিত কি প্রবল হচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বর্তমানে সকলের জানা। তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটানোর বার্তা দিলেও হাওড়া জেলায় যে তা বিশেষ কাজে লাগেনি, তা এদিন আবারও স্পষ্ট হলো। একুশের বিধানসভা নির্বাচন প্রায় দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের শাসক দলের প্রত্যেক নেতাকর্মীদের একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রীমো। কিন্তু সেখানে দলনেত্রীর বার্তা উপেক্ষা করে হাওড়ায় আবারও উল্টো ছবি দেখা গেল। এদিন হাওড়া জেলার তৃণমূল যুব কর্মীসভা ছিল। কিন্তু এই সভায় আমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও হাজির হলেন না হাওড়া সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায় এবং সদরের সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য্য।

পাশাপাশি অরূপ ঘনিষ্ট প্রাক্তন কাউন্সিলদের কেউ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। খুব স্বাভাবিকভাবেই হাওড়া জেলা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। অন্যদিকে এই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই একজোট হবার বার্তা দেন। পাশাপাশি ব্রাত্য বসু বলেন, অরূপ রায় কিংবা অন্য নেতাকর্মীরা যেভাবে নেত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও উপস্থিত হননি, তখন কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। তবে সেই ভুল বোঝাবুঝি খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য। অন্যদিকে অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে অরূপ রায় কোন প্রতিক্রিয়া দেননি। আজ চ্যাটার্জি পাড়া সম্মিলনী মাঠে তৃণমূল যুব কর্মীদের ডাকে সভা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই সভায় ব্রাত্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি কেন্দ্রের সমালোচনাও চলে। এদিন সভা মঞ্চ থেকে ব্রাত্য বসু জেলার যুব নেতা কর্মীদের আরো সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আজকের ঘটনা থেকে হাওড়া জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসে পড়ল। কিছুদিন আগেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল ছেড়েছেন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। এরপর একে একে হাওড়া তৃণমূল নেতা শ্রীকান্ত ঘোষ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে গেছেন।

অন্যদিকে হাওড়ার রাজনীতিতে মোটামুটি প্রায় সকলের জানা অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপক দূরত্বের কথা। লক্ষ্মীরতন শুক্ল রাজ্য সভাপতি হওয়ায় সেই দূরত্ব আরও বাড়ে। লক্ষ্মীরতন শুক্ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের কর্মসূচিতে দেখা যেত না অরূপ রায় ও তাঁর অনুগামীদের। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, অরূপ রায়ের প্রতি ক্ষোভের কারণে অনেকেই হাওড়ায় তৃণমূল ছেড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের যুব কর্মী সমাবেশে শনিবার অরূপ রায় সহ তাঁর অনুগামীদের না থাকা বিভিন্ন প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল শিবিরের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইতিমধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের ভাঙন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আপাতত হাওড়া জেলার তৃণমূল নেতা অরূপ রায়ের প্রতি তৃণমূল নেত্রী কি বার্তা দেন, সেটাই এখন দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!