হুগলীর রঙ কি ক্রমশ গেরুয়া থেকে হচ্ছে নীল-সাদা? বিধানসভার লক্ষ্যে বড়সড় ভাঙনে বাড়ছে জল্পনা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি August 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার আগামী রাজনীতির যুদ্ধকে সামনে রেখে ক্রমাগত চলছে এখন শক্তি বাড়ানোর প্রতিযোগীতা। শাসক ও বিরোধী উভয় দলই এ ব্যাপারে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সামনের সারিতে উঠে আসছে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপির নাম। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল থেকে শয়ে শয়ে নেতা কর্মী গিয়ে যোগদান করছে গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু সময় একটু পেরোতে না পেরোতেই আবার ছবিটা পাল্টে গেছে। এবার গেরুয়া শিবির থেকে দলে দলে যোগদান করছে তৃণমূলে। যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে যথেষ্ট শক্তি জোগাবে বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। আর এবার হুগলির গেরুয়া রঙ ফিকে হবার পথে। সম্প্রতি গেরুয়া শিবিরে বড় ফাটল ধরিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি থেকে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় 500 নেতা, কর্মী, সমর্থক বলে জানা গিয়েছে। এদিন চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেনের তৎপরতায় ভদ্রেশ্বরে এই ব্যাপক দলবদল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভদ্রেশ্বরের বিজেপি যুবমোর্চার সহ সভাপতি শ্রীওম সাহা-সহ পৌরসভার এলাকার বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব রাখাল চক্রবর্তী, ধর্মেন্দ্র সিং, আশিষ সাউ, মনোজ দাস সহ প্রায় 500 জন বিজেপি কর্মী বুধবার তৃণমূলে যোগদান করলেন বলে জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে হুগলি জেলায় গেরুয়া শিবির ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করে এবং সংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর এবং চন্দননগর থেকেই এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হাত ধরে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি হলো বলে মনে করা হচ্ছে। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী ভুল করে যারা অন্য দলে চলে গেছেন, তাঁদের তৃণমূলে আবার ফিরে আসার আবেদন করেছিলেন। আর দলনেত্রীর সেই বার্তাকে নজরে রেখেই মূলত এত বিপুল পরিমাণে দলবদল হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলে একাংশ। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের যেখানে শক্ত ঘাঁটি গড়েছিল গেরুয়া শিবির সেইসব জায়গাতেও দেখা যাচ্ছে এবার তৃণমূল ফাটল ধরাচ্ছে। যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রীতিমতো অস্বস্তির সামনে দাঁড় করাচ্ছে বিজেপিকে। আপাতত সংগঠনকে আরও জোরদার করার দিকে নজর দিলে তবেই এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াই যে সেয়ানে সেয়ানে হতে চলেছে সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহলের সবাই। আপনার মতামত জানান -