এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হুহু করে রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্ৰমণ! জল্পনা বাড়িয়ে রাজ্য সরকার দায় চাপাচ্ছে নতুন কীটের উপরেই

হুহু করে রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্ৰমণ! জল্পনা বাড়িয়ে রাজ্য সরকার দায় চাপাচ্ছে নতুন কীটের উপরেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রায় প্রত্যেক দিন রেকর্ড হারে সংক্রামিতের সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে হু হু করে। গত 23 শে মার্চ থেকে লাগাতার 70 দিনের লকডাউনের ঘেরাটোপে ছিল বাংলা। কিন্তু তাতেও যে পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি, তা বোঝা হয়ে গেছে এতদিনে সবার। আনলক পর্বের শুরুতেই পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  করোনার বেগতিক বৃদ্ধিকে ঠেকাতে তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার সপ্তাহে দুদিনের লকডাউন ফিরিয়ে এনেছে আবার।

কিন্তু সেই লকডাউনে যে কতটা কাজ হবে, তাই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তবে এবার রাজ্যজুড়ে যেভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে এবার উঠে আসছে অন্য তত্ত্ব। মনে করা হচ্ছে, সম্প্রতি করোনা পরীক্ষার কিট পরিবর্তন করার ফলেই রাজ্যজুড়ে পজিটিভের সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে অনেকটা। নতুন কিট এর দ্বারা করোনার টেস্ট হয় প্রথম কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখানেই সন্দেহের শুরু। এরপর কলকাতা নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি উঠে আসে।

আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। মনে করা হচ্ছে, এনআইভি (পুণে)-র কিটের বদলে আইসিএমআরের নতুন পরীক্ষার কিট ব্যবহার করার ফলেই এই বিসম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নীলরতন রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে নতুন কিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেখানকার মাইক্রোলজি বিভাগের প্রধান চিত্রিতা চট্টোপাধ্যায়। এবং এরপরেই রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কর্তাদের সাথে অনলাইন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কিট ফেরত নেওয়ার কথা জানান।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, ‘‘আইসিএমআরের সঙ্গে কথা হয়েছে। সমস্যা মেটানো হচ্ছে। ওরা জানিয়েছে, নতুন কিটে পরীক্ষার কিছু নতুন প্রক্রিয়া রয়েছে। সেগুলি আমাদের কর্মীদের শেখাতে বলা হয়েছে।’’ অন্যদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই নতুন কিট কিন্তু অত্যন্ত উচ্চমানের। কারণ এই কিট ব্যবহার করার ফলে কোভিডের স্ক্রিনিং এবং চিহ্নিতকরণ দুটোই হয়। তবে সমস্যা যে কিছু হচ্ছে, সে কথাও স্বীকার করেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যে স্বীকার করেছে নতুন কিট ব্যবহার করার আগে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল। সেক্ষেত্রে এবার রাজ্যের প্রশ্ন, প্রশিক্ষণ না দিয়ে বা কর্মীদের না শিখিয়ে নতুন কিট বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করা হচ্ছে কেন? অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের যে কিটগুলি পাঠানো হয়েছে সেগুলির গুণগত মান ঠিক নেই। কারণ আইসিএমআরের একই কিট অন্য রাজ্যেও গেছে। সেখানে কিন্তু কোন খারাপ রিপোর্ট আসেনি।

তবে এক্ষেত্রে অনেকেই অন্তর্ঘাতের সন্দেহ করছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা চলছে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি পরিমাণে দেখানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে খারাপ কিট পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রায় একই কথা বলেছেন নীলরতন এর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। তিনি জানান, আইসিএমআর যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করে সেদিকে নজর রাখা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।

তবে এবার প্রশ্ন উঠেছে করোনা রোগীদের ভবিষ্যত নিয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, যদি আইসিএমআরের কিট ব্যবহারযোগ্য না হয় এবং তাতে রিপোর্ট যদি ঠিকঠাক না আসে, তাহলে এতদিন পর্যন্ত যাদের করোনা রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের কি হবে? যদিও তার যথাযথ উত্তর এখনো পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্তারা দিতে পারেননি। অন্যদিকে নীলরতন সরকার হাসপাতালে ইতিমধ্যে 110 টি বেড নিয়ে করোনা ওয়ার্ড চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে মারাত্মক হারে বেড়ে চলেছে তাতে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করে কড়া লকডাউন চলছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বিন্দুমাত্র। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সপ্তাহে দুদিন কড়া লকডাউন ফিরিয়ে আনল রাজ্য সরকার সবার জন্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই লকডাউন সফল হওয়া নিয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার রাজ্য সরকার নতুন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এখন সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!