এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হুঙ্কার ছেড়েও আপাতত শান্ত বিজেপির হেভিওয়েট নেতা! নবান্নের রং গেরুয়া হওয়া সময়ের অপেক্ষা?

হুঙ্কার ছেড়েও আপাতত শান্ত বিজেপির হেভিওয়েট নেতা! নবান্নের রং গেরুয়া হওয়া সময়ের অপেক্ষা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 40 বছরের সময়কাল পার করেও রাহুল সিনহার বদলে মুকুল রায়কে বিশেষ জায়গা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি শিবিরে। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক জল্পনা। নাম না করেও রাহুল সিনহা তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন দলের প্রতি। তবে তিনি সময়সীমা নিয়েছিলেন 12 দিনের। যার পর তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর সেই সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাহুল সিনহা তাঁর সিদ্ধান্ত জানাননি।

প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি তিনি এবার যোগ দিতে চলেছেন ঘাসফুল শিবিরে? সে প্রসঙ্গে আবার বিজেপির একাংশই দাবি করেছে, এটা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ, রাহুল সিনহা যেহেতু একজন পুরনো নেতা। তাই পদ হারিয়ে তিনি অভিমানী হয়ে থাকতে পারেন কিন্তু দলবদল করার কথা তিনি কখোনই ভাববেন না। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে গেরুয়া শিবির। ঠিক সেসময় দলবদল করে পরাজিত দলে যাওয়ার মতন বোকামো করবেন না রাহুল।

তবে দলের একাংশ যাই বলুক না কেন, রাহুল সিনহা কিন্তু ক্রমশ গেরুয়া শিবিরের প্রতি নিস্পৃহ আচরণ করছেন। দলে থেকেও তিনি বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে যোগদান করেননি। তবে শেষ পর্যন্ত দলে থাকলেও মুকুল রায়ের নেতৃত্বে রাহুল সিনহা কতটা সক্রিয় হবেন, তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে পদ না পাওয়া নিয়ে রাহুল সিনহা যেভাবে হুংকার ছেড়েছিলেন, তাতে রাজনৈতিক মহলে সে সময় যথেষ্ট আলোড়ন উঠেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই হুংকার ছিল শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় শিবিরকে চাপে ফেলার অস্ত্র।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেই চাপেও কোন লাভ হয়নি। রাহুল সিনহা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েও রাহুল সিনহার সঙ্গে বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতি নিয়েই কথা হয়েছে। রাহুল সিনহাকে নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে রাহুল সিনহা এখন কিছুই বলার মতন অবস্থায় নেই বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় বিজেপি সহ-সভাপতি মুকুল রায় এবং বাংলার সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন প্রকারান্তরে নাম না করে তাঁকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন।

সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে মুকুল রায় রাহুল সিনহার নাম না করেই পরামর্শ দেন কে পদ পেয়েছে, কে পদ পায়নি তা নিয়ে আলোচনা না করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজেপিকে বাংলায় ক্ষমতায় আনাই মূল লক্ষ্য থাকতে হবে। একইভাবে বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননও নাম না করে রাহুল সিনহাকে ধৈর্য ধরার বার্তা দেন। তবে রাহুল সিনহা এখনো পর্যন্ত বিজেপির বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। প্রাথমিকভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও তারপর থেকে রাহুল সিনহাকে আর প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ বিজেপি রাজনীতিতে সেভাবে দেখাও যাচ্ছেনা।

আপাতত রাহুল সিনহার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, তা নিয়েই কৌতুহল তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারিয়ে রাহুল সিনহার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এই মুহূর্তে অনিশ্চিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাজ্য থেকে সরিয়ে রাহুল সিনহাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ দিয়েছিল নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁর গতিবিধি আটকে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই। সেদিক থেকে মুকুল রায় কোন পদ না পেয়েই কিন্তু যেভাবে বাংলা এবং দিল্লি দুদিকেই সামলেছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আপাতত রাহুল সিনহা পর্দার আড়ালে চলে গেলেও আগামী দিনে নতুন করে ফিরে আসেন কিনা, সেদিকেই এখন নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!