এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া কৃষি আইন বাতিলের সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা

হুঁশিয়ারি দিয়ে নয়া কৃষি আইন বাতিলের সময়সীমা বেঁধে দিলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লি ও দিল্লির সীমান্ত অঞ্চলে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের। কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের তীব্র আন্দোলন চলছে। কৃষকরা গতকাল চাক্কা জ্যাম ডেকেছিলেন কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে। গতকাল ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আগামী ২ রা অক্টোবরের মধ্যে যদি নয়া কৃষি আইন বাতিল করা না হয়, তবে আরও বড় আন্দোলনে নামতে চলেছেন কৃষকেরা।

গতকাল, একাধিক কৃষক দলের পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল চাক্কা জ্যাম। বিভিন্ন স্থানে পথ অবরোধ করা হয়েছিল। দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাবে দেখা গিয়েছিল অবরোধ। বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় রান্না করে, খাওয়া দাওয়া করে, রাস্তায় বসে থেকে পথ আটকে রেখেছিলেন বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। গতকাল চাক্কা জ্যামকে কেন্দ্র করে সাধারণ তন্ত্র দিবসের মতো কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয়, সে জন্য পুলিশ ও প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে কাঁটাতার, রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী, দিল্লি পুলিশের মোট ৫০ হাজার জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। ছিল জলকামান, ক্রেনের ব্যবস্থাও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে গতকাল কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। গতকাল গাজীপুর সীমান্তে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি পূরণ না হবে, ততক্ষণ তাঁরা ঘরে ফিরবেন না। অন্যদিকে বিভিন্ন রাস্তায় পেরেক পুঁতে রাখা সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, সরকার যদি রাস্তায় পেরেক ফেলে রাখে, তাহলে তাঁরা রাস্তায় ফুল ফোটাবেন। কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই তাঁদের চলতে হবে। গতকাল গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রকে ২ রা অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয়া হলো।

এই সময়ের মধ্যে নয়াকৃষি আইন যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তবে পরবর্তী পরিকল্পনা নিতে চলেছেন তাঁরা। কোনো চাপের কাছেই মাথা নত করে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না তাঁরা। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত আরও জানিয়েছেন যে, কৃষকদের কোন রকম সম্মতি না নিয়েই আইন এই আইন আনা হয়েছিল। তাঁরা এই আইনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

তাঁর কথায়, তাঁরা শুধু এই আইনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, অন্যকিছু তারা করছেন না। সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে কখনোই বলছেন না তাঁরা। তাঁর প্রশ্ন, সরকারের এত রাগ কেন? আইন প্রত্যাহার করতে কি সমস্যা সরকারের? প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কৃষকেরা যদি আপত্তি করেন, তবে আগামী দেড় বছর নয়া কৃষি আইন বলবৎ করা হবে না।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!