এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকাল ট্রেন চালু হলেও নেই হকার, আন্দোলনে নামছে তৃণমূল সিপিআইএম , কংগ্রেস

লোকাল ট্রেন চালু হলেও নেই হকার, আন্দোলনে নামছে তৃণমূল সিপিআইএম , কংগ্রেস


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার মানুষদের একটা বড় অংশের রোজগারের ভিত্তি যে হকারি, সেটা লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করা মানুষদের বেশিরভাগ মানুষই জানেন। এমন পরিস্থিতিতে লোকাল ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই সমস্ত মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে যে ভয়ানক সংকট নেমে এসেছে, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। তাই যেখানে সকলেই আবারো লোকাল ট্রেন চলার অপেক্ষায় ছিলেন, সেখানে লোকাল ট্রেন চললেও হকার নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন হকারদের একটা বড় অংশ।

জানা গেছে, তাই আবারো লোকাল ট্রেনে হকার চালু করার দাবিতে আন্দোলনে নামতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল সিপিআইএম , কংগ্রেসকে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বসিরহাট স্টেশনের বাইরে হকাররা আন্দোলনের পাশাপাশি নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে রেলের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। সেইসঙ্গে বুধবার শিয়ালদহ স্টেশনেও একই দাবিতে হকারদের বিক্ষোভ দেখা গেছে।

এছাড়া হাওড়া, বর্ধমান, শেওড়াফুলি, কাটোয়া, ক্যানিং, বজবজ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ-সহ অসংখ্য স্টেশনে প্রায় রোজই হকারদের বিক্ষোভ চলছে বলেও জানা গিয়েছিল। এদের মধ্যেই ব্যান্ডেল স্টেশনে বহু দিন ধরে চা-বিস্কুট বিক্রি করে সংসার চালান শোভা দাস নামের এক মহিলা। তাঁর কথায়, আট মাস ধরে রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। বৃদ্ধা মা, ভাই আছে। রেশনের উপর নির্ভর করে পেট চলছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগে দৈনিক শ’পাঁচেক টাকা রোজগার হয়ে গেলেও এখন তা বন্ধ হওয়ায় দিশেহারা অবস্থা হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে, হাওড়া লাইনে বাদাম, চানাচুর ট্রেনে ফেরি করে তপন সাহা নামে বছর বারোর যুবক। জানা গেছে, তার বাবা পক্ষাঘাতে পঙ্গু হয়ে পড়ায় পেটের টানে দু বছর আগে এই পেশাই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তবে লকডাউনে পাড়ায় সবজি বিক্রি করলেও এখন তা দামি হওয়ায় আবারও বেকার হয়ে পড়েছে সে।

এই বিষয়ে উত্তর চব্বিশ পরগনা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোর কমিটির সদস্য কৌশিক দত্ত জানিয়েছেন, “আট মাস কাজ নেই। হাজার হাজার হকার ট্রেনের অপেক্ষায় ছিলেন। ট্রেন চললেও ট্রেন ও স্টেশনে হকারির অধিকার নেই। অবিলম্বে হকারদের স্টেশনে ঢুকতে দিতে হবে।” তবে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী দোলা সেনের তরফে জানানো হয়েছে, “ছট, জগদ্ধাত্রী পুজো কাটলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসে আলোচনা করে ঠিক করা হবে কর্মসূচি। এরপর ডিসেম্বরের প্রথম থেকে তা চালু করার কথা বলতে হবে।”

অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে রেল নির্ভর জীবিকার বিষয়ে দায়িত্ব পালন করার জন্য লিখিতভাবে অনেক আগেই জানিয়েছি আমরা। মানুষকে বাঁচতে হবে। তাই অনুমতির অপেক্ষায় তাঁরা থাকবেন না।” তবে করোনা সতর্কতা ছাড়াও হকারি বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব যে, হকারি অবৈধ। তাই হকারদের স্টেশনে বা ট্রেনে অনুমতি দেওয়া যাবে না। তাই এমন পরিস্থিতিতে আবারও হকারদের জীবনে কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!