এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হায়দারাবাদ এনকাউন্টার কাণ্ডে একসুরে আওয়াজ তুললেন বিজেপি ও তৃণমূলের দুই সেলিব্রিটি সাংসদ

হায়দারাবাদ এনকাউন্টার কাণ্ডে একসুরে আওয়াজ তুললেন বিজেপি ও তৃণমূলের দুই সেলিব্রিটি সাংসদ

গত কদিন ধরে দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া ধর্ষণ-খুনের চার অভিযুক্তর পুলিসি এনকাউন্টারে হত- শুক্রবার সকালে এই ব্রেকিং নিউজে ঘুম ভাঙলো দেশবাসীর। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে 24 ঘণ্টা আগেও যেখানে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ, সেখানে আচমকাই ভোররাতে চার অভিযুক্ত এনকাউন্টারে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে খবর আসে। এই খবরে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় গোটা দেশ। কেউ কেউ বলতে থাকে যা হয়েছে, তা ঠিক হয়েছে।

আবার অনেকেই মানতে পারছেন না এইভাবে আইনি ব্যবস্থাকে হাতে তুলে নেওয়া। ঠিক যেমন ভাবে রাজনৈতিক মহলেও এই এনকাউন্টার নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে রাজনৈতিক কলাকুশলীরা। প্রতিটি দলেই এই ঘটনায় দ্বিধাবিভক্তি শুরু হয়েছে। যে রকম বিজেপির মধ্যে লকেট চট্টোপাধ্যায় এই এনকাউন্টার কে সমর্থন জানালেও মানেকা গান্ধী বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায় এই এনকাউন্টারকে সর্বতোভাবে সমর্থন জানালেও বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই একটা ইস্যুতে বিজেপি ও তৃণমূল সাংসদ একই সুরে কথা বলেছেন।

এদিন সংসদে যাওয়ার সময় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় হায়দ্রাবাদে ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করে মারার খবর পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এদিন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এমন এনকাউন্টারকে আইনিভাবে বৈধতা দেওয়া উচিত।’ তিনি আরো বলেছেন, পুলিশের এনকাউন্টারের খবর পেয়ে তিনি যথেষ্টই খুশি। এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেছেন, ‘মেয়েটার আত্মা শান্তি পেল। … আমি ধন্যবাদ জানাই হায়দ্রাবাদ পুলিশকে।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দলগত মতভেদ থাকলেও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সাথে একই সুরে কথা বলেছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সাংসদ হলেও তিনি এই এনকাউন্টারকে রীতিমত সমর্থন জানিয়েছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে একজন মা হিসেবে বলতে পারি, ঠিক হয়েছ।’ এদিন শতাব্দী রায় পরিষ্কার করে বলেছেন দীর্ঘদিন আইনি প্রক্রিয়া চললেও অপরাধীদের সঠিকভাবে শাস্তি হয়না। তিনি এ সম্পর্কে বলেছেন, ‘জেলের মধ্যে বসে অপরাধীরা ফ্রায়েড রাইস খেত.. তা ঠিক নয়।’

প্রসঙ্গত, বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী অবশ্য অন্য সুরে কথা বলেছেন। তিনি এনকাউন্টারের বিরুদ্ধে গিয়ে জানিয়েছিলেন আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত হয়নি। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপির অন্য এক সদস্য লকেট চট্টোপাধ্যায় পরিষ্কার করে এই এনকাউন্টারকে সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলেন, ‘আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়।’ সে জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রীর বিপরীত সুরে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।

উল্লেখ্য, পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়ার সময় ধৃত চার অপরাধী পুলিশের ওপরেই হামলা করে। আর সে কারণেই পুলিশকে গুলি ছুঁড়তে হয়। তবে এই এনকাউন্টারের ফলে নিহত প্রিয়াঙ্কার রেড্ডির পরিবার তেলেঙ্গানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নির্ভয়াকান্ডের ফলে সন্তান হারিয়েছেন যে মা, সেই মা এদিন পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই স্বাগত বার্তার মধ্যে বিপরীত সুরটাও প্রকট হয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে এভাবে খুন করা কতটা সংগত? কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা এনকাউন্টার। কারণ পুলিশের ওপর হামলা করার জন্য নিজেদের বাঁচাতে তাঁরা গুলি ছোড়েন। সম্পূর্ণ বিষয়টির ওপর এখন নজর রাখছেন দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!