এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > WHO অন্য কথা বললেও ICMR-এর রিপোর্ট ভাবাচ্ছে নতুন করে! করোনা নিয়ে সামনে এল নতুন দুশ্চিন্তা!

WHO অন্য কথা বললেও ICMR-এর রিপোর্ট ভাবাচ্ছে নতুন করে! করোনা নিয়ে সামনে এল নতুন দুশ্চিন্তা!

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে চিনে। আর চিন থেকেই তা ছড়িয়ে গেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কেননা বিভিন্ন দেশের অনেক লোকেরা নানা কাজে বিদেশে যান। ফলে একে অপরের সংস্পর্শে সেই ভাইরাস যত দিন যাচ্ছে, ততই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশ এখন লকডাউনের রাস্তা বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ যারা সুস্থ রয়েছেন, তারা যাতে বাইরে না বেরোন এবং তার ফলে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।

কিন্তু শুধুমাত্র বিদেশ থেকে আসলেই কি তার শরীরে বাসা বাঁধছে করোনা ভাইরাস? অনেক এমনটা মনে করলেও, সম্প্রতি এই ব্যাপারে পরীক্ষা চালিয়েছিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। যেখানে উঠে এসেছে মারাত্মক তথ্য। দেখা গেছে, এমন অনেক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। আর এর ফলেই জল্পনা তৈরি হয়েছে যে, তাহলে কি ভারতবর্ষে করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল?

জানা গেছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন এমন 5 হাজার 911 জনের ইতিমধ্যেই ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। আর এর মধ্যেই 104 জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাস‌। আর এই 104 জনের মধ্যে 40 জনের বিদেশযাত্রার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। যার ফলে জল্পনা জোরালো হয়েছে যে, তাহলে ভারতবর্ষেও এবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেল। মূলত 104 জনের শরীরে যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে 85 জন পুরুষ রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর মধ্যে 83 জনের বয়স 40 বছরের উপরে। কিন্তু ভারতবর্ষের কোন কোন রাজ্যে এই সংক্রমণ পাওয়া গেছে? আইসিএমআরের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের 21 জন, গুজরাটে 13 জন, দিল্লির 14 জন, পশ্চিমবঙ্গের 9 জন এবং তেলেঙ্গানার 8 জনের শরীরে এই সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আর আইসিএমআর এই ধরনের রিপোর্ট পেশ করায় নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ভারতবর্ষে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি।

কিন্তু তারই মাঝে আইসিএমআরের রিপোর্ট ভাবাচ্ছে সকলকে। যারা বিদেশে যাননি, তাদের শরীরে কিভাবে করোনাভাইরাস বাসা বাঁধল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তাহলে কি এবার ভয়ের পালা শুরু হল? এদিন এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা অবশ্য অন্য কথা জানাচ্ছেন। তাঁদের মতে, “উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মানেই গোষ্ঠী সংক্রমণ নয়।”

তাঁদের মতে, “ইদানিংকালে যদি বিদেশ না গিয়ে থাকেন, চেনাশোনার মধ্যে করোনা পজেটিভ কারও সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই বাসে-ট্রেনে, এটিএমে বা বাজারে অজান্তে ভাইরাস আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এসেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু সংক্রমনের উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” এই ব্যাপারে নির্দিষ্ঠ উদাহরণ তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “তিন সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা চালিয়ে 40 জন এমন আক্রান্তের হদিস পাওয়া গেছে। যাদের কিনা বিদেশ যাওয়ার কোনো ইতিহাস নেই এবং করোনা পজেটিভ কারও সংস্পর্শেও আসেননি।”

আর নিঃসন্দেহে এগুলো ভারতের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। কেননা বিষেশজ্ঞরা মনে করছেন, “এতদিনে সেই সংখ্যাটা নিশ্চয়ই আরও বেড়েছে‌। করোনা যে গোষ্ঠী সংক্রমনের আকার নিয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।” আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গোষ্ঠী সংক্রমণের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করায় এবং আইসিএমআরের রিপোর্ট সেরকম আভাস দেওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমশ বিপদজনক দিকে যাচ্ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!