ঈদ-মহরমে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার পর এবার সংক্ৰমণ এড়াতে পূজোর ভিড় কমাতেও বড়সড় পদক্ষেপ ইমামদের কলকাতা রাজ্য September 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার কমানোর জন্য রাজ্য সরকার যারপরনাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একথা পরিষ্কার রাজ্য সরকারের সাথে সাথেই সাধারণ মানুষকেও সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চালাতে হবে। তবে বাংলার বুকে সংক্রমণ নজিরবিহীনভাবে কমতে পারবে। করোনার জন্য ইতিমধ্যে সমস্ত রকম উৎসব এই মুহূর্তে নিয়মের ঘেরাটোপে। ইতিমধ্যে ঈদ, মহরম ইত্যাদি ঘরে বসেই উদযাপন করেছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে হিন্দু-মুসলিম বিচার না করে মেটিয়াবুরুজ এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমামেরা সম্পূর্ণ অন্য উদাহরণ তুলে ধরলেন। সামনেই আসছে দুর্গাপুজো। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলার অন্যতম উৎসব দুর্গাপূজায় নজিরবিহীন ভিড় দেখতে পাওয়ার কথা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্য। তাই মেটিয়াবুরুজ এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমামেরা ক্রমাগত প্রচার চালাচ্ছেন দুর্গাপুজোয় ভীড় না করার জন্য। একইভাবে এই ইমামেরা সংক্রমণ এড়াতে ঘরে থেকে নামাজ পড়ার আবেদন করেছিলেন ঈদ, বকরি ঈদ ও মহরমের সময়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকায় করোনা সংক্রমণ অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক কম। আর সেই সাফল্যের পেছনে এখানকার মসজিদের ইমামদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এবার পুজোর সময় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার কাজ করে চলেছেন এই ইমামেরা। উৎসবের ভেদাভেদ না করে স্বাস্থ্যসচেতনতার ওপর জোর দিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গে পেশায় শিক্ষক এবং মেটিয়াবুরুজ আহলে হাদিস সংগঠনের সম্পাদক শেখ নাসরুল বারী জানিয়েছেন যেভাবে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়ে চলেছে, তাতে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এবং সে কারণেই এলাকার বিভিন্ন মসজিদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক শুক্রবার জুম্মার নামাজ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নামাজ পড়ার ভিড় এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে জানা গেছে, মেটিয়াবুরুজ থানা এলাকায় মোট 26 টি দুর্গা পুজো হয়। সেখানে পুজোর ক’দিন যাতে কোনোভাবেই ভিড় না হয়, সে বিষয়ে এখন থেকেই লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে এলাকার মসজিদগুলি থেকে। এই প্রসঙ্গে জানা গেছে, বর্তমানে মসজিদে কাউকে মাস্ক ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হয়না নামাজ পড়ার জন্য। শুধু তাই নয়, করোনা থেকে বাঁচতে সরকারি নিয়ম মেনে 25 জনের বেশি কোনভাবেই জমায়েত করতে দেওয়া হয় না এলাকায়। এ প্রসঙ্গে শেখ নাসরুল বারি আরও জানিয়েছেন, পুজোর সময় এলাকায় যাতে ভিড় না বাড়ে, তা দেখার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে মুসলিম যুবকরা স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করবেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দাদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বন্দর এলাকার ডিসি ওয়াকার রেজা সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘‘সাধারণ মানুষ এ ভাবে এগিয়ে এলে পুলিশের কাজটাও সহজ হয়ে যায়।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ভুলে যেভাবে মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দারা এগিয়ে এসেছেন করোনা সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে রাজ্যবাসীর মনে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। রাজনৈতিক কোনো দলের ছত্রছায়ায় না থেকে যেভাবে সাধারণ মানুষরা করোনার হাত থেকে একে অপরকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছেন মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে তা সত্যিই উদাহরণস্বরূপ হিসেবে দেওয়া যায় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মেটিয়াবুরুজ ছাড়াও গোটা কলকাটা, গোটা রাজ্যে এই সচেতনতা থাকা জরুরী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -