এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > লকডাউন উঠলেই অবস্থা হতে পারে সঙ্গীন! বড়সড় আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

লকডাউন উঠলেই অবস্থা হতে পারে সঙ্গীন! বড়সড় আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

গোটা বিশ্বের কাছে এখন প্রথম এবং প্রধান চিন্তার কারণ করোনা ভাইরাস‌। কোনো প্রতিষেধক না থাকায় সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে বিভিন্ন দেশ লকডাউনের রাস্তাকে বেছে নিয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে সকলের। তবে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় তৃতীয় ধাপে লকডাউনের কথা ঘোষণা করলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা শিথিল করেছে ভারতবর্ষ।

কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ঠিক করবার জন্য এই লকডাউন জারি করার পরেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করে দেওয়ার পর করোনা ভাইরাস কি আবার মহামারির আকার ধারণ করবে! এখন এই প্রশ্ন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, লকডাউন শিথিল হলে তার ফাঁকফোকরের ফলে অনেক মানুষ বাইরে বেরোবেন। যার ফলে সামাজিক দূরত্ব যেমন ভঙ্গ হবে, তেমনই বাড়তে শুরু করবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ।

ইতিমধ্যেই আমেরিকার প্রায় অর্ধেক রাজ্যে লকডাউন শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে ইউরোপের কিছু রাজ্যেও এই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেকটি দেশ চাইছে নিজেদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে। আর তার কারণে এখন লকডাউন ব্যবস্থাকে শিথিল করে দিচ্ছে তারা। তবে এই ব্যবস্থা শিথিল হলে করোনা ভাইরাস যে রাজ্যে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কথা ভেবে এখনই লকডাউন শিথিল করা উচিত নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনের কাইজার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য নীতির সরকারি অধিকর্তা জশ মিকাড বলেন, “জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নিরাপত্তা নিয়ে আমরা যদি বিধিনিষেধ শিথিল করি, তাহলে আমাদের আরও সংক্রমণ ও আরও মৃত্যু দেখতে হবে।” অন্যদিকে এখন আরও বেশি করে যে শৃংখলার প্রয়োজন, সেই কথা তুলে ধরেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র বিল ডি ব্ল্যাসিও। এদিন তিনি বলেন, “গোটা দেশকে আমি বার্তা দিতে চাই, সংক্রমণ শেষ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে গেলে কতটা চেষ্টা, কতটা শৃঙ্খলা প্রয়োজন, তা শিখুন। শৃঙ্খলা না মানলে পরিস্থিতি আরও বুমেরাং হয়ে যেতে পারে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে ফ্রান্সের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের ভাইরাস বিভাগের প্রধান অলিভার সোরার্জ বলেন, “করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা আসবে। কিন্তু তার অভিঘাত কি পরিমাণ হবে, এটা ছোট ধাক্কা হবে না বড় ধাক্কা, এখন সেটাই প্রধান প্রশ্ন।” অর্থাৎ প্রতিটি দেশই বুঝতে পারছে যে, লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার কারণে করোনা ভাইরাস আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাতে ভেঙে না পড়ে এবং সামনে যেদিন আসছে, তা যাতে বিপদগ্রস্ত না হয় তার জন্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন দেশ।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবিকা তখন বেঁচে থাকবে, যখন জীবন থাকবে। সেক্ষেত্রে এখন কষ্ট হলেও লকডাউন পরিস্থিতিকে পূর্ণাঙ্গরূপে মানা উচিত। তবে এটা যদি হালকাভাবে নেওয়া হয়, তাহলে যেদিন আসছে, তা হয়ত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এখন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ, প্রত্যেকের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশ লকডাউনকে শিথিলভাবে চালায় নাকি আরও কঠোর হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!