প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই বড় ঘোষণা ইমরান খানের, চমকে গেল বিশ্ব আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর July 28, 2018 সদ্য সমাপ্ত সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তানে সবাইকে চমকে দিয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছে ইমরানের খানের নেতৃত্ত্বাধীন তেহরিক-ই-ইনসাফ। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মিললেও সে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিকে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে গিয়েছেন সে দেশের তথা বিশ্বের একদা জনপ্রিয় এবং সনামধন্য ক্রিকেটার ইমরান খান। আর শপথ গ্রহণের আগেই এদিন তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর মনের ইচ্ছের কথা জানিয়ে চমকে দিলেন তাঁর দেশকে তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বকেই। পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্ত্বের সুযোগ পেলেও তিনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাসে থাকবেন না। পরিবর্তে সেই সেই ‘বিলাসবহুল’ ভবনকে জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো কোনো জনকল্যানকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। বিদেশে পড়াশোনা করা জনপ্রিয় ক্রিকেটার তথা সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক, দেশের তো বটেই এমনকি বিদেশের মহিলাদের কাছে ‘হার্টথ্রব’ প্রেমিক, আর তারপরে দুর্নীতি দমনে আওয়াজ তোলা একজন রাজনীতিবিদ – একলপ্তে ইমরান খান সম্পর্কে বলতে গেলে এই শব্দবন্ধনীই ভেসে উঠবে সাংবাদিকের কলমে। আর এখন কঠিন হার না মানা লড়াইয়ের পরে দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের রায়ে নির্বাচিত দেশের হবু প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, ৬৫ বছর বয়েসী ইমরান খান ১৯৯২ সালে বিশ্ব কাপ জয়ী পাকিস্তান দলের দলনায়ক ছিলেন। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ক্রিকেট মাঠের সাফল্যের পাশাপাশি এবার তিনি রাজনৈতিক জীবনেও অবশেষে বড়সড় সাফল্য অর্জন করলেন। যদিও পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলির দাবি, দেশের সেনা ও আইএসআই এর পরোক্ষ মদতে ইমরান খান এই জয় পেয়েছেন – জনগনের রায়ে নয়। কারণ তাঁদের মতে, ব্যালটে ব্যাপক রিগিং করেছে তেহরিক-ই-ইনসাফ দল। কিন্তু পাক-জনতা সেইসব অভিযোগে খুব একটা কর্নপাত করতে রাজি নয়, বরং তাঁরা এখন মশগুল ইমরানকে নিয়েই। একদিন যে ‘অধিনায়কের’ হাত ধরে পাকিস্তান বিশ্বসভায় শ্রেষ্ট হয়েছিল – তাঁর হাত ধরেই এবার নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন আপামর পাকিস্তানবাসী। এদিন ইমরান খান দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরে এবং শপথ গ্রহণের আগে রাজনীতিবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, এতদিন দেখেছি, ক্ষমতায় যে আসে, বদলে যায় – আমার ক্ষেত্রে তা হবে না। আমি ২২ বছর আগে রাজনীতিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিই শাসন ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে দেখে, পাকিস্তানে দুর্নীতি মাথাচাড়া দেওয়ায়। পাকিস্তানকে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখানো নায়ক এরপরে বলেন, কেন রাজনীতিতে এসেছি, বুঝিয়ে বলছি – রাজনীতি আমায় কিছু দিতে পারেনি। আমি চাই, আমার নেতা কয়েদ-ই-আজম মহম্মদ আলি জিন্নার স্বপ্নের দেশ হয়ে উঠুক পাকিস্তান। এর সাথে সাথেই চিরায়ত ধারা ধনীর আরোও ধনী হয়ে ওঠা এবং গরিবের আরও গরিব হওয়ার হাত থেকে দেশবাসীকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, বদল শুরু করতে হবে একেবারে মাথা থেকে। আর ইমরান খানের দেখানো সেই স্বপ্নে ইতিমধ্যেই শামিল হতে শুরু করেছেন সাধারণ পাক-নাগরিক। আপনার মতামত জানান -