নদীয়ায় গেরুয়া উত্থানের থেকেও শাসকদলকে বেশি ভাবাচ্ছে বাম-রাম ‘অলিখিত’ জোট নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য August 29, 2018 দীর্ঘদিন ধরেই এ রাজ্যে বাম আর বিজেপির সমঝোতা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দলনেত্রীর সেই কথার প্রতিফলনই যেন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে দেখতে পাচ্ছেন শাসকদলের নেতা কর্মীরা। সূত্রের খবর, নদীয়ার ১৫ আসনবিশিষ্ট বীরপুর ২-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার ৭ টি তৃনমূল, ৪ টি বিজেপি এবং ৪ টি সিপিএম পায়। কিন্তু তৃনমূলকে ঠেকাতে এখানে জোট বেধে বোর্ড গঠন করল সিপিএম এবং বিজেপি। যেখানে প্রধান হলেন বিজেপির সোমা রায় মন্ডল এবং উপপ্রধান আলিম উত্তেজা নাসিদ। কিন্তু রাজনীতিতে যাদের সাথে এত শত্রুতা সেই তাদের সাথেই বোর্ড গঠন কেন? এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “বিজেপির সাথে জোটে দলের অনুমোদন নেই। কি হয়েছে খতিয়ে দেখব”। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে সিপিএমের সাথে জোট করে এই পঞ্চায়েত দখলের কথা স্বীকার করে নেন দক্ষিন নদীয়ার বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার। পাশাপাশি বেথুয়াডহরি ১-নম্বর, কৃষ্ণনগর ১-নম্বর ব্লকের আশানগর এবং ঢাকুরিয়াপোতার জোয়ানিয়া পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। অন্যদিকে, রানাঘাট ১-নম্বর ব্লকের আনুলিয়া পঞ্চায়েতে শাসকদলের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তবে শুধু বিজেপি-সিপিএম নয়, এই বোর্ড গঠনে হাতে হাত রাখল তৃনমূল-সিপিএমও। ঘটনাটি ঘটেছে এই জেলারই কৃষ্ণনগর ২-নম্বর ব্লকের ধুবুলিয়া ১-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পাশাপাশি শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২-নম্বর পঞ্চায়েতে নির্দলদের সমর্থনে বোর্ড গঠন করল তৃনমূল। এছাড়াও রানাঘাট ২-নম্বর ব্লকের কামালপুর, কালীগঞ্জ ব্লকের ফরিদপুর এবং হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা ২-নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে নিজেদের বোর্ড গঠন করে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। কিন্তু হাঁসখালির জয়ঘাটা পঞ্চায়েতে সুরক্ষা কমিটি এবং কালীগঞ্জের গোবরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস-সিপিএম জোট। এদিকে বোর্ড গঠনে করিমপুর ১-নম্বর ব্লকের রাজাপুরের হোগলবেড়িয়া পঞ্চায়েত অফিসে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাটকেল ছোঁড়ার অভিযোগে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। তবে বোর্ড গঠনকে ঘিরে তেহট্টে কোনো গন্ডগোলের খবর পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে এখন বিরোধী জোটে একের পর এক পঞ্চায়েত দখল হয়ে যাওয়ায় নদীয়া জেলা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের। আপনার মতামত জানান -