এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পঞ্চায়েতে জয়ী ‘নির্দলরা’ গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে শুরু করলেন

পঞ্চায়েতে জয়ী ‘নির্দলরা’ গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে শুরু করলেন


পঞ্চায়েত নির্যাবচানের পর দুটি জিনিস মোটামুটি পরিষ্কার। এক – রাজ্যে অন্যান্য বিরোধীদের থেকে বহু এগিয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। দুই – কংগ্রেস ও বামফ্রন্টকে পিছনে ফেলে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল এখন বিজেপি। আর তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছিলেন ২০১১ সালের মতো রাজ্যের রাজনীতি আবার ‘পোলারাইজড’ বা মেরুকরণ হতে চলেছে। তখন ছিল বামফ্রন্ট ও বামফ্রন্ট বিরোধী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস, আর বর্তমানে তা দাঁড়াতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী হিসাবে বিজেপি। আর বাস্তবেও দেখা যাচ্ছে সেই একই ছবি।

একদিকে যেমন পঞ্চায়েতে জয়ী অন্যান্য দলের সদস্যদের শাসকশিবিরে নাম লেখানোর প্রবণতা বাড়ছে। অন্যদিকে তেমনই, শাসকদলের বিক্ষুব্ধ শিবির ক্রমশ গেরুয়া ঘেঁষা হচ্ছেন। আর এরকমই এক বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব বিধানসভার গোকর্ণী অঞ্চলের জয়ন্ত দপ্তরী হাতে তুলে নিলেন গেরুয়া পতাকা। জয়ন্তবাবু এলাকায় দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন, কিন্তু শাসকদলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে যান। ‘কাজের মানুষ’ হিসাবে পরিচিত জয়ন্তবাবুর জয় পেতে অসুবিধা হয় নি, আর জিতে উঠে শাসকদলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিজেপির পূর্ব জেলা কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান তিনি। জয়ন্তবাবুর যোগদানের পর বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়েই এইরকম বহু বিক্ষুব্ধ নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করছেন, আগামীদিনে আরো বড়সংখ্যায় এরকম যোগদান দেখা যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!