এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > কাশ্মীরে বীর সেনাদের বলিদানের মাঝেই – পাকিস্তানকে ‘দেখে নেওয়ার’ সুযোগ মিলছে আন্তর্জাতিক আদালতে – জানুন বিস্তারিত

কাশ্মীরে বীর সেনাদের বলিদানের মাঝেই – পাকিস্তানকে ‘দেখে নেওয়ার’ সুযোগ মিলছে আন্তর্জাতিক আদালতে – জানুন বিস্তারিত


কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকার জনগনের একটাই দাবী, জওয়ানদের রক্তের মূল্য রক্ত দিয়েই চোকাতে হবে পাকিস্তানকে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে ঝড় উঠে গিয়েছে। ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। এরমধ্যেই আগামী সোমবার আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। পুলওয়ামার বর্বরোচিত হামলার ঘটনার নেপথ্যে পাকিস্তানের যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত রয়েছে, সে প্রমাণ তো ভারত সরকারের কাছে রয়েইছে – তার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিয়ে রক্ত টগবগ করছে ফুটছে ভারতের। এই পরিস্থিটিতে আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানকে আইনিভাবে ধরাশায়ী করতে চেষ্টায় কোনো খামতি রাখবে না ভারত সরকার।

ভারতীয় নৌ সেনা কমান্ডার কুলভূষণ যাদব মামলায় ভারতের তরফে সওয়াল করা হবে। আন্তর্জাতিক আদালতে সোমবারের এই মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভারত সহ আন্তর্জাতিক মহলে। প্রসঙ্গত, কূলভূষণ মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে এর আগে বিড়ম্বনায় পড়েছিল ইসলামাবাদ। ২০১৭ সালের এপ্রিলে চরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা আদালত। দ্য হেগ-এর আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কুলভূষণকে ফাঁসিতে ঝোলানো যাবে না। পাকিস্তানের আদালতের রায়ে এই স্থগিতাদেশ মুখ পুড়েছিল পাকিস্তানের। এমনকি, নিজের দেশেই সংবাদমাধ্যমের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল পাক সরকারের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার ফের আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানকে কোনঠাসা করতে চলেছে ভারত – এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, সোমবার ভারত নিজের যুক্তি আদালতকে জানানোর পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পাকিস্তান নিজের বক্তব্য রাখবে। দু’পক্ষের যুক্তি পেশ করার পর রায় জানাতে মাসখানেক সময় লাগবে বলেই খবর রয়েছে। পাকিস্তানের বক্তব্য, কুলভূষণ যাদবকে তাঁরা গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সালে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করে। পাকিস্তানের উপর চরবৃত্তি করার উদ্দেশ্য নিয়েই ইরান হয়ে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করছিল কুলভূষণ। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারত। পাল্টা অভিযোগ তুলে বলে, অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে ইরাণ থেকে অপহরণ করা হয়, ব্যবসার কাজেই তিনি ইরান গিয়েছিলেন। এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে ভারতের কাছে।

কিন্তু পাকিস্তান উপযুক্ত কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ফাঁসির সাজা শুনিয়ে দেয় কুলভূষণকে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেই দাবী ভারত সরকারের। তাছাড়া, পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি লঙ্ঘন করে কুলভূষণকে ভারতীয় কবস্যুলেটের সঙ্গে কোনোরকম কোনো যোগাযোগ করতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, কুলভূষণের মা ও স্ত্রীকে তাঁর সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। দেখা করার বিষয়টি সহানুভূতির দিক থেকেও বিচার করে দেখেনি পাক সরকার, এমনটাই অভিযোগে জানায় ভারত সরকার। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের ফাঁসির সাজায় স্থগিতাদেশ জারি করলেও পাকিস্তানের তরফ থেকে হুঁসিয়ারী দিয়ে জানানো হয়, এতে কুলভূষণের সাজা মকুব হবে না। কুলভূষণের মৃত্যুদন্ড কেউ আটকাতে পারবে না। পাকিস্তানের এই হুঁসিয়ারীর যোগ্য জবাব দিতে এবার ঢাল তলোয়ার নিয়ে তৈরি ভারত। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, ‘বিষয়টি বিচারাধীন। যা জবাব দেওয়ার তা আদালতেই দেব।’ এই প্রেক্ষিতে গোটা দেশবাসী তাকিয়ে রয়েছে সোমবারের আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!