এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা আবহে চীনকে মোক্ষম ধাক্কা ভারতের! মাত্র দুমাসেই চলে বিশ্বের দ্বিতীয়স্থানে!

করোনা আবহে চীনকে মোক্ষম ধাক্কা ভারতের! মাত্র দুমাসেই চলে বিশ্বের দ্বিতীয়স্থানে!

করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি দুই আন্তর্জাতিক দেশের সম্পর্কের পটভূমিকায় যে বিশাল ব্যবধান এনে দিয়েছে তা এতদিনে পরিষ্কার। এতদিন পর্যন্ত চীন রমরমিয়ে ব্যবসা করে গেছে ভারতে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির জেরে এবং সময়ের চাপে পড়ে চীন ক্রমশ চলে যাচ্ছে পিছনের সারিতে এবং ভারত আবার সগর্বে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। জল্পনা আগেই চলছিল, এবার সেই জলনাকে বাস্তব রূপ দিতে ভারত সরকার স্পষ্ট করে দিলেন চীন থেকে কোন পিপিই বা টেস্ট কীট আমদানি করা হবেনা।

অবশ্য করোনার কারণে চীনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কে ইতি টেনেছেন বলে জানা গেছে। এবার ভারতের পালা। তবে শোনা যাচ্ছে, করোনার প্রাক্কালেও চীন যে মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করেছিল ভারতে, দেখা গেছে সেগুলিত যথেষ্ট ত্রুটিপূর্ণ। এত টাকা দিয়ে জিনিস কিনে বাতিল করতে বাধ্য হয় ভারত সরকার। তাই এবার ভারত চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট না নিয়ে নিজেরাই তৈরি করতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সে দিক দিয়ে ভারত এখনও পর্যন্ত পিপিই উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান গ্রহণ করেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দু’মাসের মধ্যে অতিরিক্ত সময় আর চেষ্টার ফলে পিপিই উৎপাদনে ভারত টেক্কা দিয়েছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে। করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক আবহে রীতিমতো টালমাটাল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল দেশে। সেই সময় ভারত 52 হাজার কীট আমদানি করেছিল। তবে জানা গেছে, ভারতের শীর্ষ স্তরের ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, যেরকম- অরবিন্দ মিল, 3 এম, ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল টেক্সটাইল অ্যাসোসিয়েশন এবং অন্যান্যরা যাঁরা এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, তাঁরাই এই অসাধ্য সাধন করেছেন বলে জানা গেছে।

এখানেই শেষ নয়, বিশ্বের প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য পিপিই স্যুট তৈরি করছে ভারত। বর্তমানে ভারতে প্রতিদিন 1.5 লাখ পিপিই কীট তৈরি হচ্ছে। এই পিপিই কীটের উৎপাদন ভবিষ্যতে দু’লাখ পর্যন্ত পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে দেশের পরিষেবা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করতে চলেছে ভারত পিপিই কীট। যার ফলে ভারতীয় রাজকোষ আবার পূর্ণ হতে শুরু করবে খুব শীঘ্রই বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে দেশীয় পদ্ধতিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কীট উৎপন্ন হতে শুরু হয়েছে ভারতে।

তাই বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও যেভাবে ভারত করোনা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনার জন্য একের পর এক আবিষ্কারের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে তাতে ভবিষ্যতে ভারত করোনা পরিস্থিতিকে যেকোনোভাবে আয়ত্তে আনতে যে বদ্ধপরিকর তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। অন্যদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজ্ঞানীরা শুরু করে দিয়েছেন তাঁদের কর্মযজ্ঞ। আপাতত করোনা পরিস্থিতি কতদিনে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে, সে দিকেই এখন সবার লক্ষ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!