এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > ভারতের আক্রমণের ভয়ে থরহরিকম্প পাকিস্তান, মরিয়া হয়ে বাঁচার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে সাহায্য প্রার্থনা

ভারতের আক্রমণের ভয়ে থরহরিকম্প পাকিস্তান, মরিয়া হয়ে বাঁচার জন্য রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে সাহায্য প্রার্থনা


গত 14 ই ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় জওয়ানদের উপর পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠনের হামলায় প্রাণ গিয়েছে দেশের প্রায় 42 জন সেনার। আর এই ঘটনার পর থেকেই সারা ভারতবর্ষে দাবি উঠেছে যে, এবার পাকিস্তানের প্রতি বদলা নিতেই হবে। আর দেশবাসীর এই আবেগকে মান্যতা দিয়ে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, এবার কোনমতেই পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

আর যেমন কথা তেমনই কাজ। সোমবারই 17 ঘণ্টা এনকাউন্টারে পাকিস্তানের প্রায় তিন জন জঙ্গীকে গুলি করে মেরেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এর মধ্যে কামরান গাজী নামে এক জঙ্গী ভারতের জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা বিস্ফোরণকাণ্ডে দায়ী সেই ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন। এদিকে ভারত যে এবার ধীরে ধীরে তাদের প্রতি বদলা রাস্তায় হাঁটছে তা আঁচ করতে পেরেই অবশেষে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্থ হল পাকিস্তান।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভারত তাদের প্রতি বদলা রাস্তায় হাঁটছে এই অভিযোগ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গাটারেসকে একটি চিঠি দেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। কিন্তু ঠিক কী রয়েছে এই চিঠিতে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, চিঠিতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিবের কাছে অভিযোগ করে বলেছে, “ভারত সরকার রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে থাকা বিদ্বেষকে জনমানুষের বাড়িয়ে তুলে পরিবেশকে অশান্ত করছে। এই অবস্থায় আপনার গোচরে আনতে চাইছি যে, ভারত যেভাবে সমানে পাকিস্তানের উপর সেনা অভিযানের হুমকি দিচ্ছে তাতে আমাদের এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে পাকিস্তান বরাবরই তৃতীয় পক্ষ হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দাবি করে আসছে। কিন্তু ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনারই কথা বলে এসেছে। আর এবার কাশ্মীরে পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের যোগ থাকায় ভারত বদলার রাস্তায় হাঁটলে সেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে অভিযোগ করে নিজেদের কিছুটা রক্ষা করতে চাইছে পাকিস্তান।

কিন্তু পাকিস্তানের এই নাটক আসলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা বলেই মনে করছেন অনেকে। পূর্বের পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের রাস্তায় হেঁটে এবার ইমরান খানও নিজেদের গা বাঁচাতেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন। কিন্তু যেভাবে পবিত্র ভালোবাসার দিনে ভারতের উপত্যকা জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় 42 জন জওয়ানকে হত্যা করল পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন, আর সেই হত্যার বদলার রাস্তায় যখন হাঁটতে শুরু করেছে ভারত তখন পাকিস্তানের রাষ্ট্রসঙ্ঘে করা এই অভিযোগ আদৌ ঢোপে টিকবে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!