এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কাজ শুরু ‘ক্রাইসিস ম্যানের’ – পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ডকে গুলিতে নিঃশেষ করল ভারতীয় সেনাবাহিনী

কাজ শুরু ‘ক্রাইসিস ম্যানের’ – পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ডকে গুলিতে নিঃশেষ করল ভারতীয় সেনাবাহিনী


গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জৈশ-এ-মহম্মদ যে বর্বরোচিত আক্রমনে ভারতের ৪৯ জন বীর সন্তানের প্রাণ নিয়েছে – তার বদলা নিতে ক্ষোভে ফুঁসছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর আপামর ভারতবাসী। সবার মুখে একটাই কথা, অনেক শোক পালন করেছি – অকালে ঝরে যাওয়া প্রাণের বদলা নিতেই হবে, দিনের পর দিন এইভাবে ভারতীয় বীরদের রক্ত ঝরবে আর পাকিস্তান জঙ্গিদের মদত দিয়ে যাবে – কিছুতেই এ আর মেনে নেওয়া যায় না।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন – যে আগুন আপনাদের বুকে জ্বলছে, সেই একই আগুন আমার বুকেও জ্বলছে। বীর সেনাদের এই বলিদান কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেব না। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে এর পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিতে পূর্ন স্বাধীনতা দিচ্ছি। আর, পাকিস্তানকে সামরিক ভাবে কিভাবে জবাব দেওয়া হবে – তার পরিকল্পনা রচনার সব দায়ভার তিনি ইতিমধ্যেই ‘ক্রাইসিস ম্যান’ অজিত দোভালকে ছেড়ে দেন। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করার রাস্তায় হাঁটছেন তিনি নিজে ও তাঁর মন্ত্রীসভার হেভিওয়েট সদস্যরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নিজেও যে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে চান – তা ১৪ ই ফেব্রুয়ারির পর তাঁর বিভিন্ন ট্যুইট থেকেই প্রমাণিত। তিনি যখন পরিকল্পনা রচনায় ব্যস্ত – সেই সময়েই গতকাল রাত থেকেই কাশ্মীরের পুলওয়ামার পিঙ্গলানে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই চলছিল। সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরাই। পাল্টা গুলিতে যোগ্য জবাব দিতে থাকে ভারতীয় বাহিনীও। রাতভর গুলির লড়াইয়ে পিছু হটেনি কোনো পক্ষই। কিন্তু গুলির লড়াইয়ে গুরুতরভাবে জখম হন, এক সেনা অফিসার সহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার জওয়ান।

তাঁদের সেনা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা করা যায় নি – শহীদ হন এক মেজর সহ ভারতীয় সেনার তিন জওয়ান। আর কালক্ষেপ না করে জঙ্গিদের বিরুদ্ধ লড়াইয়ে তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। আর তারপরেই জঙ্গিদের গোপন ডেরা উড়িয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাহিনী – তাতেই মারা যায় পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড কামরান সহ দুই জঙ্গি। অজিত দোভাল আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন – এই লড়াই কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়, এই লড়াই সামগ্রিকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। আর সেই লড়াইয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপরে আস্থা রাখতেই – কাজ শুরু করে দিলেন দেশের ‘ক্রাইসিস ম্যান’।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!