এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা যুদ্ধে বড়সড় সাফল্য ভারতের! DCGI-এর অনুমতি মিলতেই ভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে দৌড় শুরু

করোনা যুদ্ধে বড়সড় সাফল্য ভারতের! DCGI-এর অনুমতি মিলতেই ভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে দৌড় শুরু


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার ভ্যাকসিনের আশায় অধীর আগ্রহে প্রহর গুনছেন ভারত সহ বিশ্ববাসী। কারণ, করোনা দূরীকরণের চেষ্টায় মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, লকডাউন বা সামাজিক দূরত্ব কোনোটাই যেন তেমন জোরদার বলে প্রতিপন্ন হতে পারছে না। করোনা অজগর তার বিরাট জিহ্বা নিয়ে যেন গিলে ফেলছে সারা বিশ্বকে।

এ আতঙ্কের পরিস্থিতির মধ্যে আসার প্রদীপ প্রজ্জলিত করলো ভারত তথা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। গতকাল গভীর রাতে একটি ঘোষণায় এই সংস্থা জানিয়েছে, তাদের দ্বারা প্রস্তুত করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের কাঙ্খিত অনুমতি পেয়ে গেছে ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার’ পক্ষ থেকে। ‘ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার’ আধিকারিকেরা এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, করোনার ভ্যাকসিনের ব্যাপারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবটি যথাযথ ভাবে বিচার বিবেচনার পরেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ভি জি সোমানি এই ভ্যাকসিনটির ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রজেনেকার যুথবদ্ধ হয়ে করোনার ভ্যাকসিন এর গবেষণা শুরু করেছিল। এই ভ্যাকসিনটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর ভারত তথা বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট একটি ব্যবসায়িক চুক্তিতে আবদ্ধ হয় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে। তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে দেশের মাটিতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করার অনুমোদন লাভ করে ভারতীয় এই টিকা নির্মাণ সংস্থাটি। তার পর থেকেই দেশের মাটিতে তারা তৈরী করেছে করোনা নিরোধক একটি টিকা, যার নাম রাখা হয়েছে ‘কোভিশিল্ড’। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, এই টিকাটির প্রথম পর্যায়ে মানবদেহে প্রয়োগে আশাতীত ফল ফলেছে, মানবদেহে এর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালও হয়ে গেছে, এখন শুধু অপেক্ষা ফলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর আশানুরূপ ফল পেলেই ব্যাপক আকারে এই টিকাটির প্রস্তুতি আরম্ভ করে দেবে এই টিকা নির্মাণ সংস্থাটি। সংস্থা ইতিমধ্যেই এই টিকাটির উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছে। এই সংস্থার কর্ণধার আদর পুনওয়ালা জানিয়েছেন, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসেই ৩০ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ করোনার টিকা বাজারজাত করা সম্ভব হবে। তিন্নি আরো জানিয়েছেন যে, তাঁর সংস্থায় উৎপাদিত মোট ভ্যাকসিনের ৫০ % ভারতের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে, আর বাদবাকি ৫০ % ছাড়া হবে বিশ্বের বাজারে।

প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবার পর অক্সফোর্ডের এই ভ্যাকসিনটি পরীক্ষার জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে আবেদন করেছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। কিন্তু, সেরাম ইনস্টিটিউটের সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। তবে গত মঙ্গলবার সেরাম ইনস্টিটিউট ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার ভ্যাকসিনের পরীক্ষার বিষয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য আবার একটি সংশোধিত প্রস্তাব দিয়েছিল।

যে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল দিল্লির এইমস সহ সমগ্র দেশের মোট ১৭ টি স্থানে ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক মোট ১৬০০ জনের শরীরে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া সেরাম ইনস্টিটিউটের এই দ্বিতীয় প্রস্তাবটি মেনে নিয়েছে, তবে সেই সঙ্গে একটি শর্ত ও রেখেছে যা হলো, কোন নির্দিষ্ট স্থান থেকে নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেছে নিতে হবে, টিকা পরীক্ষার এই ১৭ টি স্থান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!