এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গজলডোবায় শিল্পোদ্যোগীদের ডেকে বিনিয়োগ নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

গজলডোবায় শিল্পোদ্যোগীদের ডেকে বিনিয়োগ নিয়ে বড়সড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের


রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনি বৃহৎ শিল্পের জন্য লগ্নি আনতেও কখনো চীন কখনো ইউরোপ পাড়ি দিয়েছেন নেত্রী। জনসভা থেকে বারবার রাজ্যবাসীকে উৎসাহ দিয়েছেন ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসা শুরু করার ব্যাপারে। প্রয়োজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

সেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই উত্তরবঙ্গের গজলডোবায় ‘ভোরের আলো মেগা ট্যুরিজম’ প্রকল্পের পথ চলা শুরু হয়েছিল ২০১২ তে। সম্প্রতি প্রকল্পের শীলান্যাস করলেন নেত্রী। আর এই প্রকল্প উদ্বোধণের এক মাস পেরোতে না পেরোতেই সিআইআইয়ে (উত্তরবঙ্গের) চেয়ারম্যান কমলকিশোর তেওয়ারি, শিল্পোদ্যোগী কমল মিত্তালের মতো তাবড় তাবড় শিল্প্যোগীদের ডেকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানালেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

‘ইনভেসটর মিট ফর ভোরের আলো’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি হয়ে গেল শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি বিলাসবহুল হোটেলে। শিল্পের জন্য এই উদ্যোগে সদর্থকভাবে সাড়া দিয়েছেন উদ্যোগপতিরা। এটিকে ‘ভালো উদ্যোগ’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তাঁরা।

প্রশাসনের সূত্রের খবর,গত ৩ অক্টোবর এই প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকাঠামোর কাজ শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী এর উদ্বোধন করলেন। এখনো পর্যন্ত ৩ জন বিনিয়োগকারী এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছেন। এখনো পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা,আরো ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা বাকি। বিনিয়োগ করা টাকায় ইতিমধ্যেই ৬ টি কটেজ উদ্বোধন করা হয়ে গিয়েছে। আরও ১৪টি কটেজ, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট, হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পাশাপাশি ১১ একরের উপর ইকো পার্ক, প্রকৃতির মাঝে বৃদ্ধাশ্রম, অর্কিড পার্ক সেখানে গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ছটি ক্যাটাগরিতে টেন্ডারে যাওয়ার আগে বিনিয়োগকারীদের সামনে প্রকল্পের খুঁটিনাটি তুলে ধরলেন পর্যটন মন্ত্রী। ছটি ক্যাটাগরির মধ্যে বাজেট হোটেল, স্টার ক্যাটাগরি ২ এবং স্টার ক্যাটাগরি ৩, হাই অ্যান্ড ইকো লেক রিসর্ট, ফুড কোর্ট এবং গলফ্ কোর্সের জন্য টেন্ডারে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। এই ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কোলকাতা এবং স্থানীয় বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ এরজন্য চার একর জায়গা চেয়েছে এদিন।

কেন গজলডোবায় বিনিয়োগ করে লাভবান হবেন উদ্যোগপতিরা তার সঠিক কারণ এদিন বৈঠকে তুলে ধরলেন পর্যটনমন্ত্রী। ভিডিও প্রজেকশনের মাধ্যমে গোটা প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারে আলোচনা করা হল বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে।পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তন্ময় চক্রবর্তী সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুযোগ সুবিধা, কোন ক্যাটাগরির জন্য কতটা জমি পাওয়া যাবে সমস্তটাই তুলে ধরেন। প্রকল্প বিষয়ে শিল্পোদ্যোগীদের নানা প্রশ্নের উত্তরও যথাযথভাবে দেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।

এই প্রকল্পের জন্য পরবর্তীতে কোলকাতা এবং দিল্লিতে একটি বিনিয়োগ সংক্রান্ত মিটিং করার কথা জানিয়ে দিলেন পর্যটনমন্ত্রী এদিন। এই প্রকল্পের পাশাপাশি ভ্রামরী দেবী মন্দির এবং দেবী চৌধুরানী মন্দির নিয়ে নোটিফায়েড এলাকা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে বলেও জানা গিয়েছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করে বিনিয়োগকারী ঠিক করা হবে। এদিনের বৈঠকের পর উপস্থিত শিল্পোদ্যোগীদের গজলডোবায় প্রকল্পের এলাকাটি ঘুরিয়ে দেখানো হয়। আশা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যসরকার ভালোই লাভের মুখ দেখবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ রাজ্যের পক্ষে কতোটা হিতকর হয় সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!