ফের বড়সড় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার শাসকদলের গোষ্টী কোন্দলের জেরে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল বর্ধমানের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায়। যার জেরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে মারধর সহ তার বাড়িতে হামলা চালাতেও দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকে।

কিন্তু ঠিক কি এমন হয়েছিল, যার কারণে জনরোষে পড়লেন তৃণমূল নেতা? জানা গেছে, এদিন রাত্রিবেলা গৌতম দাস নামে 25 বছরের এক যুবক মোটরবাইক করে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, রাস্তায় তার পথ আটকে দেয়া হয়। আর তারপরেই সেখানে সেই গৌতম দাসকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিকে বছর পঁচিশের যুবক গৌতম দাসের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল নেতা বিকাশ মণ্ডলের অনুগামীরা জড়িত বলে তৃণমূলের একাংশ অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। আর এর পরেই এলাকাবাসীর তরফ থেকে সেই বিকাশ মন্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই তৃণমূল নেতা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।

বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। তবে কেন এই খুন? বছর পঁচিশের যুবককে পিটিয়ে মারার পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ রয়েছে, নাকি ব্যক্তিগত কারণ? তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ কর্তারা। তবে একাংশ বলছেন, এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। যার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

আর তৃণমূলের একাংশ এই যুবক খুনের ঘটনায় অভিযোগ তুলেছেন বিকাশ মন্ডলের বিরুদ্ধে। আর তার ফলেই জনতার জনরোষে পড়তে হল সেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। ফলে গোটা ঘটনায় পুলিশি তদন্তে যে দিকটিই উঠে আসুক না কেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে এর জন্য অন্যতম দায়ী, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা।