এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নব্য বনাম পুরনো? অমিত শাহ বাংলার হাল ধরলেও, আশা পূরণ হবে? বাড়ছে জল্পনা!

বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নব্য বনাম পুরনো? অমিত শাহ বাংলার হাল ধরলেও, আশা পূরণ হবে? বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে বাংলায় 18 টি আসন পাওয়ার পেছনে তাদের যেমন জনপ্রিয়তা ছিল, ঠিক তেমনই ছিল তৃণমূলের কিছু দুর্বলতা। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার তৃণমূলের সেই ছেঁড়া চটিতেই কি পা গলাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি? সামনে 2021 কে পাখির চোখ করে বিজেপির এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে লড়াই করা উচিত বলে দাবি করছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল।

কিন্তু বিজেপির অনেক নেতা এই কাজে মন ডুবিয়ে দিলেও, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সেই মন দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। বলা বাহুল্য, গত লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস ছেড়ে বহু হেভিওয়েট নেতা কর্মী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন। দীর্ঘদিন তারা দলে কোনো পদ ছাড়াই বসেছিলেন‌।

কিন্তু সম্প্রতি বিজেপি নতুন রাজ্য কমিটিতে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট প্রাক্তন নেতা সহ একাধিক দল থেকে আগত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হয়েছে। আর এতেই রীতিমত ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছে বিজেপির পুরনো নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যেই বাংলার নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে লকডাউনের পরবর্তী সময়কালে ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রেখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার পরেই নতুন উদ্দীপনা নিয়ে বাংলা দখলের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল গেরুয়া শিবিরের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বিজেপির অনেক পুরনো নেতাকর্মী এখন রাজ্য কমিটি নিয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন। যার ফলে সেই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করাই এখন প্রধান লক্ষ্য ভারতীয় জনতা পার্টির।অনেকে বলছেন, এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে তৃণমূলকে যেভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য ডুবতে হয়েছে, সেই একইভাবে বিজেপি অনেকটা এগিয়ে গিয়েও তাদের বাংলার ক্ষমতা দখলের টার্গেট থেকে সরে যেতে হবে।

একাংশের মতে, গোটা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ রয়েছেন। তাই তিনি যখন বলে দিয়েছেন, এবার তিনি বাংলা দখল করবেন, তখন তিনি তার কথা অবশ্যই রাখবেন। সেক্ষেত্রে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতে নিজের পদ্ধতি প্রয়োগ করে দলের নেতাকর্মীদের এক সুত্রে বেধে দেবেন অমিত শাহ। কিন্তু ব্যাপারটা যতটা সহজ ভাবা হচ্ছে, সত্যিই কি অতটা সহজ? সত্যিই কি বাংলায় তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে এবং দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে অমিত শাহের মাস্টারপ্ল্যান খাটবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছুদিন আগেই ভার্চুয়াল সভায় অমিত শাহ নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের কাছে এখন প্রধান টার্গেট বাংলা দখল। তাই যেনতেন প্রকারেণ বাংলা দখল করতে দলের নেতা-কর্মীদের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সমাধান করে তিনি যে দলকে আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন শেষ পর্যন্ত দলের অভ্যন্তরীণকোন্দলকে মেটাতে সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ কি ফর্মুলা প্রয়োগ করেন, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!