এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কর্মসূচি ঘোষণা করেও আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে রাস্তায় নামা যাচ্ছে না! চূড়ান্ত অস্বস্তিতে বিজেপি

কর্মসূচি ঘোষণা করেও আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বে রাস্তায় নামা যাচ্ছে না! চূড়ান্ত অস্বস্তিতে বিজেপি


লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি করে ময়দানে নামতে শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মসূচি করলেও ইসলামপুর মহকুমায় জনজাগরণ কর্মসূচি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেনি তারা।

ইতিমধ্যেই একবার তারা কর্মসূচি ঘোষণা করলেও দিনক্ষণ পিছোতে হয়েছে। আর জনজাগরণ নামের ওই কর্মসূচি প্রকৃত পক্ষে বিরোধীদের কাউন্টার করার কর্মসূচি হলেও এই প্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপি’র টালবাহানায় তাদের দলের সাংগঠনিক দুর্বলতাই ফের প্রকট হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

এনিয়ে বিজেপির পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। কিন্তু পাল্টা পথে নামতে সেই ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পক্ষে যুক্তি খাড়া করেছে বিজেপি।

আর তাই তো বিজেপির জনজাগরণ কর্মসূচির মাধ্যমে ৩৭০ ধারা বিলোপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তারা মানুষের আরও বেশি কাছে পৌঁছতে চাইছে। জানা গেছে, জম্মু কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির পক্ষে জনমত গড়ে তুলে বিরোধীদের জবাব দিতেই বিজেপির এই কর্মসূচি।

সূত্রের খবর, ১৭-২৪ আগস্ট পর্যন্ত এই কর্মসূচির জন্য সময় ঠিক করা হয়েছিল, তবে বিজেপির প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কারণে সেই তারিখ পরিবর্তন করে ২১-২৬ পর্যন্ত কর্মসূচির দিনক্ষণ স্থির করা হয়। কিন্তু সেখানেও যথেষ্ট ত্রুটি লক্ষ করা গেছে। ইতিমধ্যেই ২২ তারিখ পেরিয়ে গেলেও ইসলামপুর মহকুমা এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে নামা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা চর্চা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “৩৭০ ধারার পক্ষে বা বিপক্ষে এখনও জেলায় আমরা কোনও আন্দোলন করিনি। সেখানে কার্যত প্রতি ১০ জনে একজন আর্মি দিয়েছে সরকার। এর থেকেই বোঝা যায় ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে কাশ্মীরে শান্তি ফেরেনি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের ইসলামপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, “সংসদে আলোচনা না করেই কেন্দ্র কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছে। আমরা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছি।” এদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিষয়ে আমাদের দলের কোনও কর্মসূচি নেই।”

কিন্তু কর্মসূচির দিন স্থির হলেও কেন তা থেকে পিছিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। এদিন এই প্রসঙ্গে
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, “৩৭০ ধারা তুলে দেওযায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা জনজাগরণ কর্মসূচিতে সভা, পথসভার মাধ্যমে মানুষকে বোঝাতে চাই ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়াতে কী সুফল হয়েছে। এক সময় এর প্রয়োজন ছিল। এখন এর প্রয়োজন নেই। সবেমাত্র আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হয়েছে। তাই এই কর্মসূচি শুরু করতে দুই দিন দেরি হল। ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকে এই কর্মসূচি চলবে।”

তবে এখানেই প্রশ্নে, বিরোধীরা যখন কেন্দ্রের এই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা শুরু করেছে, তখন বিজেপি জনজাগরন কর্মসূচি নিয়েও কেন তা থেকে পিছিয়ে এল!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!