প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই লোকসভায় জেতা তো দূরের কথা, সংগঠন ঠিক রাখতেই হিমশিম অবস্থা তৃণমূলের রাজ্য January 14, 2019 কংগ্রেসের দখলে থাকা মালদহের দুটি লোকসভা আসন নিজেদের দখলে রাখতে যখন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই মালদাকে পাখির চোখ করেছেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, ঠিক তখনই সেই মালদা জেলার উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের অন্দরে। সূত্রের খবর, এই উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত প্রায় প্রতিটি ব্লকেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তপ্ত হচ্ছে এলাকা। সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাচলের দুটি ব্লকে খুনের হুমকি ও খুনকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর 1 এ প্রায় দুবছর আগে শাসকদলের এক কর্মী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছিলেন। আর এরপরই কিছুদিন আগে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্যা মমতাজ বেগম ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূলের এক শ্রমিক নেতাকে খুনের হুমকি দেওয়ায় প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, এই ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য মমতাজ বেগম দলের কয়েকজনের নামে জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে একটি অভিযোগ জানান। আর শুভেন্দু বাবুর কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই সেই মমতাজ বেগমের বাড়িতে শাসকদলের কিছু ছাত্র এবং যুব কর্মীরা কাজু কিশমিশ এবং ফলমূল দিয়ে আসেন। মমতাজ বেগমের অভিযোগ, সরবরাহকারীরা এসে বলে যে শেষবার খেয়ে নেওয়ার জন্যই তাঁরা এইসব দিচ্ছেন। এমনকি মমতাজ বেগমের স্বামী তথা তৃণমূলের শ্রমিক নেতা আমিনুল হককে একটি হুমকি চিঠিও দেওয়া হয় বলে খবর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - লোকসভা ভোটের আগে উত্তর মালদহে যেখানে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত শাসকদলের, সেইখানেই দলের একাংশের প্রতি দলের অনেক কর্মীর হুমকি চিঠি বা খুনের হুমকি দেওয়ায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।তবে শুধু হরিশ্চন্দ্রপুরই নয়, চাঁচোল, হরিশ্চন্দ্রপুর 2, হবিবপুরের মত এলাকাগুলিতেও শাসকদলের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চোখে পড়ছে। হুমকি চিঠি পেয়ে জেলা পরিষদ সদস্যা মমতাজ বেগম বলেন, “দলের ভালোর জন্য শুভেন্দুবাবুর কাছে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু এর জেরে এমনটা হবে ভাবিনি। এর পেছনে সামিউদ্দিন রহমান নামে তাজমুল গোষ্ঠীর এক ঘনিষ্ঠরা রয়েছেন।” অন্যদিকে সামিউদ্দিন সাহেব অবশ্য এই ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তাজমুল হসেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছেন। তবে শুধু তাজমুল বা সামিউদ্দিনই নয়, মালদহ জেলার শাসক দলের নেতৃত্বও এই ব্যাপারে কোনোরুপ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানতে নারাজ।এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “তৃণমূলে কোনো গোষ্ঠী কোন্দল নেই। উত্তর মালদহে আমাদের দল খুবই সংগঠিত। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা বা ভুল বোঝাবুঝি ঘটেছে। সেগুলি দলের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।” তবে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব যতই উড়িয়ে দিক না কেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, উত্তর মালদহে দিনকে দিন বিজেপি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তাতে সেইখানে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল শাসকদলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। আপনার মতামত জানান -