এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিরক্ত, নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত মমতার সৈনিকের

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিরক্ত, নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত মমতার সৈনিকের


 

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। মালদহ জেলায় দুর্দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে এই তৃণমূলের পতাকা বহন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর সেই ব্যক্তি দুলাল সরকার এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিরক্ত হয়ে নির্বাচনে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। যাকে ঘিরে এখন গৌড়বঙ্গ তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বস্তুত, প্রায় বিভিন্ন সময়েই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রত্যক্ষ করতে হয়েছে গোটা রাজ্যবাসীকে।

বারেবারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দমানোর কথা বললেও, দলের নেতা-নেত্রীরা তা শোনেননি। উল্টে যতদিন গিয়েছে, ততই তা বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পর নেত্রীর শৃংখলার বার্তা দলের নেতাকর্মীরা শুনবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও যত দিন গিয়েছে, ততই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অটুট থেকেছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তিতিবিরক্ত মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার এবার নির্বাচনে না লড়ার মত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বুধবার দুলাল সরকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিত্ব করছি। দল যেখানে দাঁড় করিয়েছে, সেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছি। কয়েক মাসের মধ্যে পৌরসভা ভোট হবে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আমি আর প্রতিদ্বন্দ্বীতা করব না। দলের রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরকেও জানিয়েছি।” কিন্তু কেন তিনি এরকম সিদ্ধান্ত নিলেন! এই প্রসঙ্গে দুলাল সরকার বলেন, “দিন দিন দল বড় হচ্ছে। ফলে দলে মতানৈক্য থাকতে পারে। আমার সঙ্গে অনেকের মতের মিল হচ্ছে না। তবে শুধুমাত্র সেই কারণে প্রতিদ্বন্ধিতার আসর থেকে সরে যাচ্ছি বলা উচিত হবে না। আমি সংগঠনের কাজ করে যাব। জনপ্রতিনিধি হিসেবে না থাকলে আমি আরও বেশি করে দলের কাজ করতে পারব। তবে দলের তরফে আমাকে এখনও কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। আমি দলের অনুগত সৈনিক। আশা করি, দল আমার ইচ্ছাকে মর্যাদা দেবে।”

কিন্তু এই ব্যাপারে ঠিক কি বলছেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম নুর! জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতির এই আবেদন কি তিনি মানবেন! এদিন এই প্রসঙ্গে মৌসুম নূর বলেন, “বাবলাবাবু দলের অভিজ্ঞ নেতা। আগামী দিনে তাকে আমাদের প্রয়োজন। প্রতিদ্বন্দিতা করার ব্যাপারে অনিচ্ছার কথা বাবলাবাবু আমাকে জানিয়েছেন।
কিন্তু আমরা এই ব্যাপারে সম্মতি দিইনি। ওনাকে বোঝানো হবে। আসন্ন পুর নির্বাচনে তিনি যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেই ব্যাপারে আমি অনুরোধ করব। আমরা সংঘবদ্ধভাবে দল করি। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।”

তবে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অত্যন্ত অনুগত সৈনিক নির্বাচনে না যাওয়ার কথা জানালেন, তাতে মালদহ তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশিত হল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে এখন শেষ পর্যন্ত বাবলাবাবুর মান ভাঙাতে জেলা তৃণমূল কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!