খুন হয়ে যাওয়া দলীয় নেতার স্মরণসভাতেও এড়ানো গেল না গোষ্ঠীকোন্দল, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল রাজ্য September 2, 2018 সম্প্রতি জামবনির দুবড়ায় শাসকদলের নেতা চন্দন ষড়ঙ্গী খুনে এক সিপিএম এবং এক বিজেপি কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের কেউ গ্রেপ্তার হলেও দলের কর্মীদের মধ্যেই যেন এই খুন নিয়ে একটা চাপা উত্তেজনা বজায় রয়েছে। সূত্রের খবর, গত শুক্রবার এই নিহত চন্দন ষড়ঙ্গীর একটি স্মরনসভা আয়োজন করেন শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব। দুবরা চকে অঞ্চল তৃনমূলের কার্যালয়ের সামনে এই স্মরনসভায় উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা, শাসকদলের এসসি এসটি সেলের জেলা সভাপতি অর্জুন হাঁসদা, জেলা তৃনমূলের চূড়ামনি মাহাতো, দুর্গেশ মল্লদেব, জামবনি ব্লক তৃনমূল সভাপতি নিশীথ মাহাতো সহ সেই নিহত চন্দন ষড়ঙ্গীর দাদা প্রসূন ষড়ঙ্গী ও অন্যান্য নেতারা। কিন্তু এত নেতা উপস্থিত থাকলেও তৃনমূলের জেলা কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদাই কেন অনুপস্থিত দলীয় কর্মীর স্মরনসভায়? তাহলে কি গোষ্টীদ্বন্দ্বের প্রভাব এই শাসকদলের মৃত কর্মীর স্মরনসভাতেও পড়ল! যদিও বা সেই দাবি উড়িয়ে সুকুমার হাঁসদা বলেন, “আমি অসুস্থ। এখন কোলকাতায় আছি। জেলার নেতা কর্মীদের ওই কর্মসূচী সফল করতে বলেছি।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে সুকুমারবাবু যাই বলুক না কেন এদিনের স্মরনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চন্দন ষড়ঙ্গী খুনে যে দলেরই কেউ জড়িত তাঁর ইঙ্গিত দিয়েছেন জামবনী ব্লক তৃনমূলের সভাপতি নিশীথ মাহাতো। এদিন তিনি বলেন, “চন্দনদা কখন পার্টি অফিস থেকে বেরিয়েছিল, সেই খবর কেউ না কেউ খুনিদের কাছে পৌছে দিয়েছিল।” তবে নিশীথ মাহাতো এতটুকু বললেও নিহত চন্দন ষড়ঙ্গীর দাদা প্রসূন ষড়ঙ্গী তো একেবারে দলেরই বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে এবং এলাকাকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই এই খুন করা হয়েছে।” সব মিলিয়ে দলীয় কর্মী খুনে বিজেপি এবং সিপিএম গ্রেপ্তারে দলের ভেতরেই যেন অস্বস্তি অব্যাহত শাসকদলে। আপনার মতামত জানান -