এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, বহিষ্কার করা হল হেভিওয়েট নেতাকে, জেনে নিন

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, বহিষ্কার করা হল হেভিওয়েট নেতাকে, জেনে নিন


শাসক দলের ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস থাকলেও, মাঝেমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। যার প্রথম এবং প্রধান কারণ দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বহুবার দলের বিভিন্ন নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলে বনাম তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়েছে এলাকা।

যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসক শিবিরকে। তবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে আর কোনোমতেই রেয়াত করা হবে না, এবার তা প্রমাণ করে দিল ঘাসফুল শিবির। যার জন্য এবার দল থেকে বহিষ্কার করা হল এক তৃনমূল নেতাকে। বস্তুত, সম্প্রতি অঞ্চল সভাপতি বদলকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল।

যেখানে রঘুনাথপুর 2 নম্বর ব্লকের জোতকমলের অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষকে সরিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানেই বাপি ঘোষের সাথে তার বিরোধী দলের নেতারা প্রবল বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। আর তারপরেই একে অপরের দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার সকালে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান, বিধায়ক আকরুজ্জামান এবং ব্লক সভাপতি সমিরুদ্দিন বিশ্বাস। আর সেখানেই এই ব্যাপারে করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গেছে, এই বৈঠক থেকেই অঞ্চল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত প্রধান বাপি ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়ে দেয়া হয়।

আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব এভাবে দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি বাপি ঘোষকে বহিস্কার করে দেওয়ায় এখন রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। ‌ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বাপিবাবুকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হলেও, তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জঙ্গিপুর মহাকুমা তৃণমূল সভাপতি বিকাশ নন্দীর গলায়।

তিনি বলেন, “জেলা সভাপতি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, বৈঠক করেছেন, এই বিষয়ে কিছু জানা ছিল না। এভাবে কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা যায় না।” তবে বিকাশবাবু যে কথাই বলুন না কেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় যেভাবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল এবং এক নেতাকে বহিষ্কার করল, তাতে অন্য নেতারা এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার রাস্তায় হাঁটে কিনা, এখন তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!