জিলাপি কেনা নিয়ে বিবাদের জেরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক তৃনমূল নেতার স্ত্রী কলকাতা রাজ্য October 11, 2019 লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। তবে বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপূজোতে সেই রাজনৈতিক সংঘর্ষ কিছুটা হলেও বিরতির আকার নেবে বলে মনে করেছিল বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে বিভিন্ন জায়গায় প্রত্যক্ষ করা গেল এই পুজোকে কেন্দ্র করে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষের ছবি। এবার দশমীর মেলায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন তৃণমূল নেতার স্ত্রী। জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গঙ্গারামপুরের নারায়নপুর এলাকায় দশমীর মেলা চলছিল। সেই সময় দুই ব্যক্তির মধ্যে জিলাপি কেনা নিয়ে তীব্র বচসা শুরু হয়। আর এরপরই দুপক্ষের মধ্যে বচসা থেকে সেই ঘটনা হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হলে অন্ধকারের মধ্যে গুলি চালালে সেই গুলি গিয়ে লাগে গৃহবধূ কাজলি দাসের গায়ে। পরবর্তীতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী কাজলি দাসকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে তাকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটল! অনেকে বলছেন, জিলাপি কেনা নিয়ে যাদের মধ্যে বিবাদ হয়েছে, দু’পক্ষই তৃণমূলের কর্মী বলে পরিচিত। তাই সেই ক্ষেত্রে এই ঘটনা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকেই হতে পারে বলে দাবি সমালোচক মহলের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ঘটনায় আহত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। যার মধ্যে 3 জন পুরুষ এবং 2 জন মহিলা বলে জানা গেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপকুমার দাস বলেন, “নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি। কি কারনে গৃহবধূকে গুলি করা হল, কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এল, সমস্ত বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” এদিকে সমালোচক মহলের একাংশ এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের এসসি, এসটি সেলের সভাপতি সত্যেন রায়। তিনি বলেন, “এর মধ্যে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। নারায়নপুর, পুটিমারি, হঠাৎপাড়া বিভিন্ন এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম চলতেই থাকে। তৃণমূল দল এসব প্রশ্রয় দেয় না। আমি নিজেও এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ অপরাধীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি দেবে। আমাদের এক তৃণমূল সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা অসামাজিক কাজকর্ম করে, তাদের রেয়াত করা হবে না।” সব মিলিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে দশমীর মেলায় গুলিচালনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা জেলা রাজনীতিকে ক্রমশ উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকেই নিয়ে যাচ্ছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। আপনার মতামত জানান -