এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > বিধায়ক তুমি কার? দিদিকে বলো কর্মসূচিতে দুই পক্ষের টানাটানিতে তীব্র অস্বস্তি শাসকদলে

বিধায়ক তুমি কার? দিদিকে বলো কর্মসূচিতে দুই পক্ষের টানাটানিতে তীব্র অস্বস্তি শাসকদলে

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জন্য লোকসভা নির্বাচনে তাদের ফল খারাপ হয়েছে – রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় এমনটাই উঠে এসেছে। তবে তারপর জনসংযোগ থেকে কিছুটা মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া তৃণমূল কংগ্রেসকে জনসংযোগের ফেরানোর জন্য “দিদিকে বলো” কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রায় প্রতিটি তৃণমূল কর্মীকেই শামিল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার দিদিকে বলো কর্মসূচীতেও তৃণমূলের প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল লক্ষ্য করা গেল।

সূত্রের খবর, রবিবার গলসি 2 ব্লকের সাটিনন্দী পঞ্চায়েতের বেলগ্রামে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করতে আসার কথা ছিল খন্ডঘোষের তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগের। কিন্তু এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচীতেও দলীয় বিধায়ককে স্বাগত জানানোর জন্য দুই জায়গায় দুটি ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এক জায়গায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অঞ্চল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দা কানাইলাল চৌধুরী। অপরদিকে শিরিষতলায় ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন কিষানলাল রায় এবং সুদীপকুমার রায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিধায়ক আসতেই তাকে গ্রামে ঢোকার কিছুটা আগে মালা পরিয়ে স্বাগত জানান কানাইলাল চৌধুরী। অভিযোগ, এখানেই কানাইলালবাবুর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কিষানলাল রায় এবং সুদীপকুমার রায়রা বিধায়কের গাড়ি আটকে দাবি করেন যে, তাদের কর্মসূচিতেই যেতে হবে। আর এরপর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। যাকে ঘিরে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েন দিদিকে বল কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ।

রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে কোন জায়গা থেকে কর্মসূচি শুরু বা শেষ হবে, তা আলোচনা করে দলের দুই নেতৃত্বকে ঠিক করতে বলেন তৃণমূল বিধায়ক। তবে তার সামনেই দুটি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রত্যক্ষ করায় অস্বস্তিতে পড়ে আধঘন্টা পর গ্রাম থেকে চলে যান এই তৃণমূল বিধায়ক। যা নিয়ে তীব্র চর্চা হয়েছে শাসকদলের অন্দরে তো বটেই – এমনকি বিরোধী শিবিরেও! স্থানীয় গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, তৃণমূলের নেতারা নিজেদের সমস্যায় মেটাতে পারছে না! তো মানুষের সমস্যা কি মেটাবে? দিদিকে বলো দিয়ে মানুষকে ভোলানোর চেষ্টা চলছিল – ধরা পরে গেছে!

কিন্তু তাহলে কি দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন হল না তৃণমূলের দুই নেতার গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য! এদিন এই প্রসঙ্গে সেই তৃণমূল বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন, “নিজের মতো করেই কর্মসূচি পালন করলাম। অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “দলের কিছু কর্মীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” তবে বিধায়ক থেকে কো অর্ডিনেটর, গোষ্ঠী কোন্দল ঢাকতে যে সাফাই দিন না কেন, যেভাবে দিদিকে বলোর মতো কর্মসূচিতে দলীয় বিধায়ককে দিয়ে দড়ি টানাটানিতে তৃণমূলের দুই নেতার কোন্দলে শিকেয় উঠল এই কর্মসূচি, তাতে দলীয় শৃঙ্খলা যে পালন করা হচ্ছে না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!