এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > দলীয় উপপ্রধানকে ফেলে পেটানোর অভিযোগ তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। অস্বস্তি শাসকদলে

দলীয় উপপ্রধানকে ফেলে পেটানোর অভিযোগ তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। অস্বস্তি শাসকদলে


পান থেকে চুন খসলেই বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে চলে আসছে। শাসকের সাথে বিরোধীদের বচসা এবং সংঘর্ষ অস্বাভাবিক মনে হলেও, তাকে স্বাভাবিক হিসেবেই ধরেন বাংলার মানুষ। কিন্তু খোদ শাসকদলের ভেতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তা নিয়ে সংঘর্ষ যেমন শাসক শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলে, ঠিক তেমনই বীতশ্রদ্ধ হন সাধারণ মানুষ।

আর এবার ভয়াবহ দুর্যোগের পর বিদ্যুতের ভেঙে পড়া খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। যেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, এদিন ভয়াবহ দুর্যোগের পর দেশপ্রাণ ব্লকের বসন্তিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিদ্যুতের তারের মেরামতির কাজ কিভাবে হবে, তা নিয়ে একটি বৈঠক চলছিল।

অভিযোগ, সেই সময়ে স্থানীয় কিছু মানুষ বিদ্যুতের অচলাবস্থা কাটাতে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়। আর সেই সময়ে অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সমর ভূঁইয়া পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে দলের প্রধান এবং উপপ্রধানকে কটুক্তি করে বলে অভিযোগ। এমনকি উপপ্রধান তুষার পাত্রকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলেও অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলেরই অঞ্চল সভাপতির দ্বারা উপপ্রধান এভাবে প্রহারের শিকার হওয়ায় রীতিমতো তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় এখন শাসক শিবির এখানে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে উপপ্রধান তুষার পাত্র বলেন, “পঞ্চায়েত অফিসে স্থানীয় বাসিন্দারা স্মারকলিপি দিতে এলে অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অযাচিতভাবে আমাকে কটুক্তি করে এবং মারধর করে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পঞ্চায়েতের 18 জন নির্বাচিত সদস্য বিডিওর কাছে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি।”

এদিকে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন অঞ্চলের সভাপতি সমর ভূঁইয়া। এদিন তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা এবং উপপ্রধানের নেতৃত্বে কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে আমি কাউকে মারধর করিনি‌।” যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ জানা।

তবে এভাবে বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় তৃণমূল এখানে কি অস্বস্তিতে পড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিরাজ গুড়িয়া বলেন, “সংগঠনের গুরুত্ব না দিয়ে কিছু লোক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঠেলাঠেলি হয়েছে। দলের অঞ্চল সভাপতি, জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে কিছু লোক ভাঙচুর করেছে। গোটা বিষয়টি দলের জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।”

সব মিলিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন অঞ্চল সভাপতি এবং প্রধান- উপপ্রধানের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যাওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। এমনিতেই করোনা-আমপানের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত বাংলায় – এখন কোনো রাজনীতি না করতে অনুরোধ করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও যেভাবে তাঁর নিজের দলের প্রভাবশালী নেতারাই যেভাবে বারেবারে গোষ্ঠীকোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে, তাতে অস্বস্তি বাড়ছে শাসক শিবিরে। দল এখন এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!