এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নেত্রীর নির্দেশে শঙ্কুকে ‘থামানোর’ বৈঠকে তীব্র দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল টিএমসিপির তৃণাঙ্কুর-জয়া গোষ্ঠী

নেত্রীর নির্দেশে শঙ্কুকে ‘থামানোর’ বৈঠকে তীব্র দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল টিএমসিপির তৃণাঙ্কুর-জয়া গোষ্ঠী


গত কয়েকদিন ধরেই ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আপনাদের জানিয়েছি যে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের নির্দেশে বিজেপি যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা শাসকদলের ছাত্র ও যুব সংগঠনে একের পর এক ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে কার্যত কম্পন ধরিয়ে দিয়েছেন রাজ্য-রাজনীতিতে। শঙ্কুর সুচতুর পরিকল্পনায় দার্জিলিং থেকে দীঘা, সুন্দরবন থেকে ঝাড়গ্রাম – একের পর এক কলেজে গেরুয়া পতাকা উড়ছে পতপত করে। শুধু তাই নয়, উত্তর ও দাক্ষিণবঙ্গের একাধিক তৃণমূলের শীর্ষ যুবনেতা শঙ্কুদেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

সূত্রের খবর, এই হেভিওয়েট যুবনেতারা যে কোন দিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বা মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে পা রাখতে চলেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালের এক প্রতিবেদনে আপনাদের জানাই যে গোপন সূত্রের খবর, শঙ্কুদেবের এই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ রুখতে মাঠে নামতে চলেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে সব মান-অভিমান ভুলে সত্বর প্রাক্তন টিএমসিপি সভাপতি জয়া দত্ত ও বর্তমান টিএমসিপি সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে তিনি বৈঠকে বসতে নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, যুবর ভাঙন ঠেকাতে আসরে নামতে বলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ মত বৈঠকে বসেও তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্মুখীন জয়া দত্ত ও তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আজ তৃণমূল ভবনেই এই বৈঠক শুরু হয় – কিন্তু, শুরু থেকেই বৈঠক ছিল উত্তপ্ত। দুই শিবিরের দুই শীর্ষ নেতা মঞ্চে থাকলেও, কিছুক্ষনের মধ্যেই উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডায় দুই পক্ষেরই একাধিক নেতা-কর্মী মঞ্চে উঠে পড়েন। তৃণমূল ভবনের মধ্যেই রীতিমত হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরী হয়ে যায়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মী এই নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ। প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না শাস্তির কোপে পড়ার ভয়ে। কিন্তু, নাম প্রকাশে ইচ্ছুক বেশ কিছু ছাত্রনেতার বক্তব্য, দলের এখন কঠিন সময়। সেখানে নেত্রীর নির্দেশে ভাঙন রুখতে বৈঠক শেষপর্যন্ত এইভাবে কদর্য জায়গায় চলে গেল, তাও তৃণমূল ভবনের মধ্যে ভাবতেও খারাপ লাগছে!

এদিকে, এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর পৌঁছেছে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ নেত্রী নাকি এই বিষয়ে জট শীঘ্র সম্ভব হস্তক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে সমগ্র ঘটনা নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন জয়া দত্ত, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু, শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা রীতিমত আতঙ্কিত! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতার বক্তব্য, শঙ্কুদেব পণ্ডা টিএমসিপির ইতিহাস-ভূগোল সব জানেন – কোথায় কিভাবে ভাঙন ধরাতে হবে , কার সঙ্গে কার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কোথায়ই বা তৃতীয় বা চতুর্থ গোষ্ঠী আছে, কার কি কারণে অভিমান – কিছুই অজানা নয় একসময় নিজের হাতে এই সংগঠন তৈরী করা শঙ্কুদেবের। তাই, তিনি যখন আগ্রাসী হয়ে একের পর এক কলেজের দখল নিয়ে নিচ্ছেন, তখনও আমাদের নেতাদের ঘুম ভাঙছে না! এখনও তাঁরা ব্যস্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে – এই চলতে থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই টিএমসিপির এই সংগঠন চুড়চুড় করে দেবেন শঙ্কুদেব পণ্ডা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!