এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাস্তার ‘উন্নয়নেই’ প্রাণ গেল প্রভাবশালী দলীয় নেতার! থমথমে এলাকায় শান্তির আর্জি শাসকদলের

রাস্তার ‘উন্নয়নেই’ প্রাণ গেল প্রভাবশালী দলীয় নেতার! থমথমে এলাকায় শান্তির আর্জি শাসকদলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনাই হোক কিংবা লকডাউন অথবা ঘূর্ণিঝড় – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠী সংঘর্ষ যে বন্ধ হবার নয় তা এতদিনে সবাই বুঝে গেছে বলে দাবি বিরোধীদের। বহু বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের মতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই মুহূর্তে শাসক দলের অন্দরে ঘুণপোকার মতন বাস করতে শুরু করেছে। এত সহজে তা থেকে মুক্তি মিলবে না। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন জায়গায় নানান আবেদন-নিবেদন করেছেন বলে জানা যায়।

কিন্তু রাজনৈতিক হানাহানির অবস্থার বিশেষ কোনো উন্নতি হয়নি। এরকমই একটি ঘটনা আবারও ধরা পড়ল আউসগ্রাম এর জয়কৃষ্ণপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় আউসগ্রাম এর বেরেন্ডা পঞ্চায়েতে জয়কৃষ্ণপুরে একটি পিচের রাস্তা বানানোর ব্যাপারে কারা দায়িত্বে থাকবেন, তাই নিয়ে শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। গন্ডগোল মুহুর্তের মধ্যে বেঁধে চলে যায় হাতাহাতিতে। এই ঘটনায় দুই পক্ষের কমবেশী ছজন আহত হয় বলে খবর। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এলাকার তৃণমূল কর্মী ইয়াসিন শেখ গুরুতর আঘাত পান বলে জানা যায়।

তাঁকে চিকিৎসার জয় কলকাতায় পাঠানো হলে শুক্রবার বিকেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু ঘটে। এই খবর পেয়ে মৃত ইয়াসিনের বাড়িতে পৌঁছান তৃণমূল নেতারা। তাঁর পরিবারকে শান্ত থাকার পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে আসেন তাঁরা। এই মুহূর্তে আউসগ্রাম এর জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য। জানা যাচ্ছে, এদিন নিহত ইয়াসিন শেখের বাড়িতে আউশগ্রাম 1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেক রহমান-সহ ব্লকের নেতারা যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এলাকার প্রত্যেক তৃণমূল কর্মীদের কাছে তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামে ইয়াসিনের দেহ আসেনি। নতুন করে দেহ আসার পর যাতে কোনো রকম গন্ডগোল না শুরু হয়, সেজন্য বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকা ঘিরে রয়েছে। তবে অভিযুক্তরা ইতিমধ্যে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।

অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, ইয়াসিন সেখ আউশগ্রাম 1 ব্লক কিসান সেলের সভাপতি আকবর শেখের এর অনুগামী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। ইতিমধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের 6 জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। উল্লেখযোগ্য, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় 4 নম্বর বুথ কমিটির সভাপতি লতিফ মন্ডল। যদিও তৃণমূলের বেরেন্ডা অঞ্চলের সভাপতি হাকিম শেখ দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নয়। মূলত পুরনো বিবাদের জেরে এই অশান্তির সূত্রপাত হয়।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে দিন দিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে প্রতিটি জায়গায়, তাতে আগামী দিনে দলকে কিন্তু আরো বিপাকে পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য হাতে আর বিশেষ সময় নেই। এই সময় যদি ক্রমাগত শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খবরের শিরোনামে উঠে আসে, তাহলে রাজ্যের শাসক দলকে যে আরো বেগতিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে সে কথা বলাই বাহুল্য। আপাতত এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলীয় সুপ্রিমো কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই এখন লক্ষ সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!