দলের ব্যাটন কার হাতে থাকবে? ফের প্রকাশ্যে কোন্দল হেভিওয়েট নেতা বিধায়কের – অস্বস্তিতে শাসকদল কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 6, 2019 লোকসভা ভোটে খারাপ ফল হবে অন্যতম কারণ হলো তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন অনেক হেভিওয়েট নেতা নেত্রীও ,আর তাই ফের সরকারে আসতে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিয়ে নেত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার। এদিকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল ভোট মানেজার প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে আপাতত তাঁর পরামর্শ মতোই চলছেন দলের নেতা নেত্রীরা। কিন্তু কিছুদিন চুপ থাকলেও ফের মাথা চারা দিচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এদিন ফের প্রকাশ্যে চলে এলো ইসলামপুরের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরি ও উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কোন্দল ৷ ইসলামপুরে দলের ব্যাটন কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে ফের দ্বদ্বে নামলেন দুই হেভিওয়েট নেতা। জানা যাচ্ছে যে, সম্প্রতি ইসলামপুর ব্লক ও টাউন কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন আবদুল করিম চৌধুরি আর সেখানেই শুরু মনোমালিন্য। অভিযোগ যে, জেলা সভাপতিকে এড়িয়েই এই কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। জেলা সভাপতির কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয় সেই কমিটিতে কানাইয়ালাল ঘনিষ্ঠ জাকির হোসেনকে সরিয়ে ছেলে মেহতাবকে ব্লক সভাপতির পদে বসান হয়েছে আর এর জেরেই সামনে চলে এসেছে দ্বন্দ্ব। এই নিয়ে কানাইয়ালালের বক্তব্য, বিধায়ক কোনওভাবেই এই কমিটি তৈরি করতে পারেন না ৷ এদিকে কানাইয়ালাল শিবিরের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ আবদুল করিম চৌধুরি। তাঁর মতে, তিনি যা করেছেন নেত্রীর নির্দেশেই করেছেন। আর নেত্রীই সবার থেকে বড়। সুতরাং তিনি কোনো ভুল করেন নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বিতর্ককে চাপা দিয়ে সভাপতি জানিয়েছিলেন যে, বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে ৷ কিন্তু সেই বিতর্ক চাপা থাকলো না। ফের প্রকাশ্যে চলে এলো এদিন। দলীয় বৈঠকে করিম চৌধুরি জানান, আজ তাঁর বাসভবনে ব্লক ও টাউন কমিটির বৈঠক হবে ৷ যার পাল্টা দিয়ে কানাইয়ালাল করিম চৌধুরিকে কটাক্ষ করে বলেন যে, “আমি 10 বছর কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলাম ৷ তারপর ন’বছর তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলাম ৷ ও (কানাইয়ালাল) তো দু’মাস হল এসেছে ৷ইসলামপুর রাজ্যের বাইরে নয় ৷ তাই এখানে দলের নির্দেশ আলাদা হতে পারে না ৷” ফলে এই দ্বাদদ এখন কতদূর গিয়ে পৌঁছায় সেটা নিয়েই চিন্তার চাপ ঘাসফুলসিবিরে। তৃণমূলের একাংশের দাবি এখন দলের দুঃসময় তাই এইভাবে নিজেদের মধ্যে লড়াই করলে আদতে ক্ষতি হবে দলেরই। আর তার সুযোগ নেবে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি যত তৃণমূল নিজেদের মধ্যে লড়বে তাতো লক্ষ্যভ্রষ্ট হবে যার জেরে সাধারণ মানুষ আরো তৃণমূলের উপর থেকে আস্থা হারাবে আর বিজেপিকে ভরসা করবে। ফলে যত তৃণমূল নিজেদের মধ্যে লড়বে ততই সুবিধা। রাজনৈতিকমহলের মতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন তৃণমূলের গভীরে ঢুকে গেছে। ভোট ম্যানেজার যদি সেভাবে এর হাল না ধরেন তাহলে লোকসভা ভোটের থেকেও খারাপ ফল হতে পারে ২০২১ এর বিধানসভায়। এখন দেখার কি ভাবে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটান মমতা ও প্রশান্ত কিশোর। আপনার মতামত জানান -