এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সাধন-তোপে বেসামাল তৃণমূল! ক্ষুব্ধ ফিরহাদের চরম প্রতিক্রিয়া – এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?

সাধন-তোপে বেসামাল তৃণমূল! ক্ষুব্ধ ফিরহাদের চরম প্রতিক্রিয়া – এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?


“এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?” ফের সাধন পাণ্ডে, ফাহাদের কোন্দল প্রকাশ্যে। আমপান বিপর্যয়ের পর লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিলো বাংলা। প্রশাসন বার বার দাবি করেছিল তারা প্রস্তুত, কিন্তু সেই প্রস্তুতি চোখে পড়েনি সাধারণ মানুষের। ১০০ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও ফেরেনি বিদ্যুৎ, জল। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সাথেই বিরোধীদের তীব্র আক্রমণে অস্বস্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। তা সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে স্বয়ং মুখমন্ত্রীকে।

এদিকে বাইরের এই আক্রমণের মধ্যেই ঘরের কোন্দল সামনে এসে পড়েছে। যার জেরে অস্বস্তি বেড়েছে বই কমেনি। ফিরহাদ হাকিমকে সরাসরি তোপ দেগেছেন দলের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে পুরসভা ঠিক মতো আগাম ব্যাবস্থা নেয়নি যে জেরেই এই বিপত্তি। পাল্টা দিয়েছেন ফিরহাদও জোর তর্ক শুরু হয় দুই মন্ত্রীর মধ্যে।

সাথে ফিরহাদের হয়ে পরেশ পাল মাঠে নেমে পড়েন একের পর এক অভিযোগের বান চালাতে থাকেন সাধন পান্ডের উপরে। কোন্দল থামাতে শো -কজের চিঠি পাঠানো হয়। ক্ষণকাল থেমে থাকলেও ফের প্রকাশ্যে চলে এলো কোন্দল। ফের একবার দশান পান্ডে আর ফাহাদের মধ্যে সংঘাত ধরা পড়লো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, আমপান বিপর্যয়ের পর শয়ে শয়ে গাছ পড়েছে কলকাতা শহরে। সেই গাছের গুঁড়ি গেল কোথায়? কোনও অডিট হয়েছে কী? এই প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। আর তার জবাবেই এবার মুখ খুললেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। ট্রি অডিট আদৌ কি সম্ভব? পাল্টা প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, “ট্রি অডিট কি আদৌ সম্ভব? এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে?” যদিও এই নিয়ে পাল্টা জবাব দেননি মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তিনি কি বলে এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিকমহল।

জানা যাচ্ছে সাধন পাণ্ডে ও পরেশ পালকে ইতিমধ্যেই শো -কজের চিঠি পাঠিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তার পরেও কোনো বিকার নেই মন্ত্রীর যা নিয়েই শুরু জল্পনা। তৃণমূলের অন্দরেই জল্পনা চলছে যে তাঁর কি মন্ত্রিরত্ম হারানোর ভয় নেই, বার বার এইভাবে দলকে ও দলের সৈনিককে যেভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলে সাধারণ মানুষষের সামনে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন তাতে তাঁকে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।

প্রসঙ্গত, পরেশ পাল দাবি করেছিলেন যে সাধন পান্ডে নিজের মেয়েকে বাঁচাতে বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন আর সেই কারণেই নিজের দলের নামে এইসব কুকথা বলছেন। যার পরেই প্রশ্ন উঠছে তবেকি সত্যিই তিনি বিজেপিতে যেতে চাইছেন ?যাই হোক সেই উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ফের মন্ত্রী- মেয়রের কোন্দল যে তৃণমূলের স্বস্তি বাড়িয়ে দিলো তার বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার তৃণমূল নেত্রী কি ব্যাবস্থা নেন এর বিরুদ্ধে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!