এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এবার কড়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা

ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে এবার কড়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র? সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা

ইদানিংকালে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় হাতের মুঠোয় দুনিয়া চলে এসেছে। ইন্টারনেটকে হাতিয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন সবার নিত্য আনাগোনা। আর এই সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে ঘটে যাচ্ছে নানা অপরাধমূলক ঘটনা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই শুরু হচ্ছে নানান বিতর্ক।

হয়তো যোগাযোগের শক্তিশালী মাধ্যম এখন ইন্টারনেট হয়েছে। তবে এখনকার দিনে কিন্তু তার সাথে সাথে সমাজে সাইবার ক্রাইমেরও বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। আর এই বাড়বাড়ন্ত কমাতেই এবার ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কড়া আইন আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব সহজেই ঢুকে পড়া যায়। আর এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেই নাকি ছড়াচ্ছে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ ! মনে করছেন রাষ্ট্র শাসকরা। তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিমকোর্টকে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নতুন নিয়ম চালু করার কথা জানালো।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে দেশবিরোধী কাজ, ভুয়ো খবর, মানহানিকর পোস্টের উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়মাবলী তৈরি করেছে। এই নিয়মাবলীতে আরো কিছু আনতে কেন্দ্রীয় সরকার তিনমাস সময় চেয়ে নিল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এই মর্মে একটি হলফনামা জমাও দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে যে মাঝেমাঝেই অশান্তি ছড়ায়, কেন্দ্রীয় সরকারের এই অভিযোগ পুরোপুরি ভুল তা বলা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ আছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কে অশান্তি ছড়ালো তা জানা এখনো বেশ কঠিন। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ নিতে বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ।

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী তৈরি করার জন্য। মূলত দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অবলম্বন করা এবং অবৈধ কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণের জন্যই সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সুপ্রিমকোর্টে সোমবার তথ্যপ্রযুক্তির মন্ত্রকের আইনজীবী রজত নাইয়ারের তরফে হলফনামা পেশ করা হয়। হলফনামায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোষ্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গেছে। তাই জাতীয় নিরাপত্তা ও অখন্ডতার স্বার্থে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এবার নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্র সরকারের তরফে যে হলফনামা পেশ করা হয় তাতে বলা হয়, 2011 সালে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সংশোধন ঘটিয়ে 2018 সালের ডিসেম্বরে একটি সংশোধিত আইনের খসড়া প্রকাশ করা হয় মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। কিন্তু সেখানেও বহু মানুষ কয়েকটি বদল চেয়ে মন্তব্য করেছিলেন। বর্তমানে চূড়ান্ত আইন প্রণয়ন করতে গিয়ে সে বিষয়গুলিকেও বিবেচনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে আধার সংযুক্তিকরণ এর বেশ কয়েকটি মামলা জমে রয়েছে। এই মামলাগুলির রায়ের প্রভাবে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠোর করার জন্য দুই জনপ্রিয়তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা সেগুলি শীর্ষ আদালতে শুনানির ব্যবস্থা করার কথা বলে। শীর্ষ আদালতে এই মামলা গুলির শুনানি ছিল সোমবার। সেখানে কেন্দ্রের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রবিরোধী কাজ আটকানোর জন্য আইন প্রণয়ন হেতু বেশ কিছুদিন সময় চাওয়া হয়।

তবে সোশ্যাল মিডিয়া যে সবসময় খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় তাও নয়। তবে বিরোধী শিবিরের দাবি, এবার কেন্দ্রীয় সরকার সোশ্যাল মিডিয়াকেও কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, আইনের ফাঁক সমস্ত জায়গাতেই থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে পৃথিবীর অধিকাংশ জনগণ চলাফেরা করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরোপুরি আটকে দিলে তা নিয়ে কিন্তু বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকার সোশ্যাল মিডিয়াকে আয়ত্বে আনতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে সেদিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!