এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করার পরেও বিতর্ক, আপার প্রাইমারি নিয়ে ফের সংশয়!

ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করার পরেও বিতর্ক, আপার প্রাইমারি নিয়ে ফের সংশয়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিতর্ক যেন থামছে না কিছুতেই। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে একের পর এক জটিলতা সামনে আসতে শুরু করেছে। হাইকোর্টের পক্ষ থেকে প্রথমে স্থগিতাদেশ জারি করার পর পরবর্তীতে সবুজ সংকেত পেয়ে বৃহস্পতিবার কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নম্বর সহ ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ করার পর ধীরে ধীরে জটিলতা মিটতে শুরু করবে বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আশাতেও কার্যত জল পড়ে গেল। এবার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরে তাতে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। যার জেরে আপার প্রাইমারির ‌ এই ইন্টারভিউ তালিকা নিয়েও এখন প্রশ্নচিহ্ন তৈরি করেছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সব মিলিয়ে 1 লক্ষ 32 হাজার প্রার্থীর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেই অনেকে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশ অভিযোগ তুলেছেন যে, এই তালিকা সম্পূর্ণ অন্ধকারে ভরা। পাশাপাশি এই ব্যাপারে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে তালিকা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে আপার প্রাইমারির ঘোষিত তালিকা নিয়ে আবার নতুন করে আইনি জট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কেননা চাকরি প্রার্থীদের অনেকেই এই ব্যাপারে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। যার ফলে আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হতে পারে। আর তা যদি হয়, তাহলে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে যাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। থমকে যাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। অনেকেরই প্রশ্ন, কেন বারবার এইভাবে চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে? কেন স্বচ্ছতার সহকারে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আদালতের রায় সকলের ব্রেক-আপ সহ নম্বর প্রকাশ কমিশনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে প্রার্থী মহলে কিছু অভিযোগ উঠে আসছে। দীর্ঘ আট বছর ধরে প্রার্থীরা নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। অনেকের বয়স শেষ পর্যায়ে। কোনো যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত না করে বর্ধিত শূন্যপদে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী 31 জুলাইয়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক।”

আর এখানেই সংশয় ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। বলা বাহুল্য, এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ব্যাপারে ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ প্রাথমিকে বিষয়টি নিয়ে আদালতের দরজায় চলে যায় এক পক্ষ। জারি হয় স্থগিতাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে যায় রাজ্য সরকার। তবে এরপর ইন্টারভিউ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে এবং ভেরিফিকেশনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর 7 দিনের মধ্যে কমিশনকে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় আদালত।

আর তারপরেই বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তা নিয়েও যেভাবে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা, তাতে ফের এই তালিকা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশবাঁও জলে চলে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!