জয়নগরে তৃণমূল বিধায়কের গুলি কাণ্ডে বিস্ফোরক তথ্য হাতে এলো তদন্তকারী অফিসারদের নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য December 15, 2018 জয়নগরে তৃণমূল বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি চলার ঘটনার পিছনেও উঠে এল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা। পাশাপাশি একই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে এলো আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে নেমে বারুইপুর জেলা পুলিশ, এসওজি এবং সিআইডি অফিসাররা জানতে পারেন, খুন হওয়া জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি সরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, শ্লীলতাহানি, জমি দখল সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এমনকি দুবার জেল পর্যন্ত খাটতে হয়েছে খুন হওয়া শাসক নেতাকে। কলকাতার এক সংবাদপত্রের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, জয়নগর শহরের কাঁচা টাকার মধুভান্ড কব্জায় রাখার জন্য সাইফুদ্দিন ও বাবুয়া ওরফে আবু কাহাড়ের – দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করে। তার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে এসওজি ও জয়নগর পুলিশ ইতিমধ্যেই, মূল শ্যুটার মনিরুল ইসলাম গাজি (রশিদ), মেহেদি হাসান লস্কর, হাসিবুল পুরকায়েত, এমাদুল খান, সালাউদ্দিন মন্ডল, অরিজিৎ হালদার, শম্ভু নাইয়া, নজরুল গাজী, আব্দুল গফফর মোল্লা, সাজামল লস্কর, আশীষ হালদার সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের বেশিরভাগের বাড়ি জয়নগর ও মন্দিরবাজার এলাকায়। পুলিশ জানায়, এলাকা থেকে প্লাস্টিক বোমা, এইট এমএম পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ জয়নগর থানা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর পেট্রোল পাম্পের পাশে বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের বাড়িতে বসে গাড়িচালকের সঙ্গে কথা বলছিল সরফুদ্দিন। আচমকা সেই সময় পিছন থেকে কিছু দুষ্কৃতী একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তাঁদের আক্রমণ করে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আরও জানা যায়, দুষ্কৃতী দলে ১২ জনেরও বেশি লোক ছিল। মেটিয়াবুরুজ ও বজবজ থেকেও একটি গ্যাং এসেছিল বলে দাবি একাধিক মহলের। ওই পেট্রোল পাম্পের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মূল শ্যুটার মনিরুল সহ ৪ জনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জেরার মুখে পড়ে বাকিদের নাম বলে মনিরুল – বলে জানা গেছে। ধৃতরা জানায়, সরফুদ্দিনকে খুন করার পরিকল্পনা তারা এক মাস ধরে করছিল। শাসকদলের একটি গোষ্ঠীর মদতে পুরো শহরের বিভিন্ন জায়গায় তোলাবাজি করে লাখ লাখ টাকা তুলছিল মনিরুল বলেও অভিযোগ ওঠে। তাই অন্য গোষ্ঠী তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে বলে দাবি। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই খুনের মাস্টারমাইন্ড বাবুয়াকে ধরতে পারেনি। সে এখনো পর্যন্ত পলাতক। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এদিন জেলা পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, জয়নগর পুরো শহরে একাধিক বড় বড় নার্সিংহোম, গুদাম বড় ধরনের পাইকারি ও খুচরা দোকান রয়েছে। এছাড়াও এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। পাশাপাশি বিভিন্ন রুটের প্রায় কয়েকশ অটো, রিক্সা-ভ্যান, টোটো, ট্রেকার ও বাস স্ট্যান্ড রয়েছে। মৃত সরফুদ্দিন সেই সমস্ত জায়গা থেকে তোলা আদায়ের কাজ করত। পাশাপাশি একই সঙ্গে সেই সরকারি জায়গা দখল, পুর শহরে পুকুর ভরাট, জমির দালালি প্রভৃতি কাজও করত। আর এসবের টাকার ভাগ না পেয়ে তাকে খুন করার পরিকল্পনা করে বাবুয়া। আপনার মতামত জানান -