আইপ্যাকের টিম মেম্বারদের ছাড়াতে এবার ত্রিপুরা শহরে পা রাখলেন তৃণমূলের তিন হেভিওয়েট জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি July 28, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের খেলা শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। কার্যত বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই উদ্দেশ্যেই তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরায় তাঁদের সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু শুরুতেই বিপত্তি। কার্যত তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি টিম আইপ্যাকের 23 জন সদস্য ত্রিপুরা গিয়েছিলেন সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে নিতে। কিন্তু ত্রিপুরায় পৌঁছানোর পর তাঁদেরকে পুলিশ নজরবন্দি করে। গত দু’দিন ধরে তাঁরা হোটেলে বন্দী রয়েছেন। আর তাঁদের ছাড়াতে ত্রিপুরায় পা রাখলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তিন হেভিওয়েট নেতা তথা মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, আজকে মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন। যদিও ত্রিপুরার বিজেপি সরকার সেখানকার তৃণমূলের সংগঠন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এতদিন। কিন্তু বুধবার সকালে বাংলার তিন নেতা ত্রিপুরায় পৌঁছাতেই রীতিমতো মারমার কাটকাট অবস্থা। আইপ্যাকের টিম মেম্বারদের ছাড়াতে গিয়েছেন মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা আগরতলা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শহরের একমাত্র পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন। আর সেই হোটেলের বাইরে প্রায় কয়েকশ তৃণমূল কর্মী ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁদেরকে সরাতে আগরতলা পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ত্রিপুরায় কড়া বিধিনিষেধ চলছে। এই অবস্থায় হোটেলের নীচে জমা হওয়া ভিড় সরিয়ে দেয় আগরতলা পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই জমায়াতের মধ্যে ত্রিপুরা তৃণমূল সভাপতি আশিষ লাল সিংহও ছিলেন। আজকে ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক এবং ঋতব্রতকে স্বাগত জানাতে ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরেও ফুল, মালা, পতাকা, উত্তরীয় নিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছিলেন। তিন নেতার গাড়ির পেছনে হোটেল পর্যন্ত যায় তাঁরা। কার্যত আগরতলার মঠ চৌমুহনী এক হোটেলের 23 জনকে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিপ্লব দেব সরকারের পুলিশের কথা হলো করোনা বিধি না মানার জন্য মামলা রুজু হয়েছে আইপ্যাকের টিম মেম্বারদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক জানিয়েছেন, করোনা বিধি মেনে বিমানবন্দর থেকেই বের হতে হয়। ঠিক সেই নিয়ম অনুসরণ করেই ত্রিপুরা শহরে প্রবেশ করেছিলেন আইপ্যাকের 23 জন কর্মী। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পুরো ঘটনা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করা হয়েছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলা হয়েছে, যেহেতু করোনা বিধি মানেননি তাই অভিযুক্ত হয়েছেন আইপ্যাকের 23 জন টিম মেম্বার। তাঁদেরকে হোটেলে আটকে রেখে করোনা টেস্ট হচ্ছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলার তিন নেতা আইপ্যাকের টিম মেম্বারদের ছাড়াতে কোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন কিনা সেদিকে যেমন নজর থাকবে, ঠিক তেমনি এই ফাঁকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন বাড়াতে এই তিন নেতা কোন বড় ভূমিকা গ্রহণ করেন কিনা, সেটাও দেখার। আপনার মতামত জানান -