এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জমজমাট IPL! দ্বিতীয় ম্যাচেই খেলা গড়াল সুপার ওভারে! চূড়ান্ত নাটকের পর শেষপর্যন্ত কি হল?

জমজমাট IPL! দ্বিতীয় ম্যাচেই খেলা গড়াল সুপার ওভারে! চূড়ান্ত নাটকের পর শেষপর্যন্ত কি হল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এবারের আইপিএল যে জমজমাট হবে, সেকথা অনেকেই আগাম ঠাহর করেছিলেন। তবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই ধামাকা দেখা যাবে, সেকথা নিশ্চয়ই অনেকেই ভাবতে পারেনি। এবছর টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই ছিল চমক। সে চমক করোনা নিয়ে হোক বা খেলার প্রস্তুতি নিয়েই হোক। তবে গতকালের ম্যাচেই দেখা গেল সুপার ওভারের। যেখানে পাঞ্জাব বা দিল্লি কখনও কেউ আগে তো কেউ পরে। ফলে টানটান উত্তেজনা রয়ে গেল ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।

ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব দলের অধিনায়ক কেএল রাহুল। খেলার শুরুতেই পরপর তিন উইকেট পড়ে যায় দিল্লির। শিখর ধাওয়ানকে শূন্য রানে রান আউট করে পৃথ্বী শকে ৫ রানে এবং সিমরন হেটমেয়ারকে ৭ রানে আউট করেন মহম্মদ শামি। কিন্তু এরপরই দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং ঋষভ পন্থ পাল্টা লড়াই শুরু করেন। শ্রেয়সসের ব্যাটে উঠে আসে ৩৯ রান আর ঋষভের করেন ৩১ রান। তবে শেষদিকে পালটা মারে দিল্লিকে ম্যাচে ফেরার মার্কাস স্টোইনিস। রানআউট হওয়ার আগে তিনি ২১ বলে ৫৩ রান করেন। যার মধ্যে সাতটি চার, আর তিনটি ছয় মারেন। ফলে ম্যাচ শেষে দিল্লির রান ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানে পৌঁছায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, দিল্লির রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। প্রথম দশ ওভারে তাঁদের রান ৫ উইকেটে ৫৫ তে পৌঁছায়। অর্থাৎ ওই ওভারে ২২ রানে চার উইকেট হারায় পাঞ্জাব। এদের মধ্যে করুন নায়ার ১ রান, নিকোলাস পুরান শূন্য রান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১রান, সরফরাজ খান ১২ রান করেন। এদের মধ্যে অধিনায়ক কেএল রাহুল শুরুটা ভাল করলেও ২১ রানেই আউট হন তিনি। এরপর দশ ওভারের পর সবাই যখন প্রায় নিশ্চিত যে ম্যাচ দিল্লির দখলে, তখনই জ্বলে ওঠেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়েই পালটা লড়াই শুরু করেন তিনি। ৪৫ বলে নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। মোহিত শর্মার ১৮ তম ওভারে ১৭ রান নেন মায়াঙ্ক। অন্যদিকে ১৯ তম ওভারে বাউন্ডারি লাইনে অধিনায়ক শ্রেয়সের হাত থেকেই পাঞ্জাব ওপেনারের সহজ ক্যাচ পড়ে যায়। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তখনও দরকার ছিল ১৩ রান। এখানেই শুরু হয় আসল চমক।

এই ওভারে প্রথম তিন বলে আসে ১২ রান। কিন্তু পরের বলে কোনও রান হয় না। তখনও দরকার ছিল ২ বলে ১ রানের। কিন্তু পরপর দুই বলে মায়াঙ্ক এবং ক্রিস জর্ডনকে আউট করেন স্টোইনিস। ফলে শেষপর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানে বাজিমাত করেন কাগিসো রাবাডা। প্রথম বলে দু’‌রান দেওয়ার পর পরপর দু’‌বলে রাহুল এবং পুরানকে আউট করেন। আর মাত্র তিনরান তাড়া করতে নেমে সহজেই জিতে যায় দিল্লি। এর মধ্যেই অবশ্য সুপার ওভারে মায়াঙ্ককে ব্যাট করতে না নামানো নিয়ে অনেককেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে। ফলে দিল্লির জয় হয়। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন একওভার বল করে মাত্র দু’‌রান দিয়ে দুই উইকেট নিলেও কাঁধে চোট পাওয়ায় পুরো বোলিংও করতে পারলেন না তিনি। ফলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। যদিও চোট কতটা গুরুতর তা এখনও জানা যায়নি। তবে এটা নিয়ে আপাতত দিল্লি যে বেশ চিন্তায় থাকবে, সেটা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!