এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ১৯ শে তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই দিল্লিতে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিতে বিশেষ পরিকল্পনায় মুকুল রায়

১৯ শে তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনেই দিল্লিতে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিতে বিশেষ পরিকল্পনায় মুকুল রায়


আগামী ১৯ শে জানুয়ারী ব্রিগেডে দেশের বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিকে এক জায়গায় এনে – কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের ‘বিদায় ঘন্টা’ বাজানোর ডাক, দলের ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকেই দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই, সেই ১৯ শে জানুয়ারিকে সফল করতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে শাসকদলের অন্দরে। দলের সমস্ত স্তরের নেতৃত্ব ব্রিগেডে রেকর্ড সমাবেশ করাতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন।

কিন্তু, সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেসের সেই ব্রিগেড সমাবেশ এবার ‘তেঁতো’ করে দিতে বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন মুকুল রায়। গেরুয়া শিবিরের এক নেতার কথায় – ১৯ শে জানুয়ারি শনিবারের বারবেলায় তৃণমূলের কপালে ‘শনি’ নাচছে! কিন্তু কি এমন হতে চলেছে সেদিন? সূত্রের খবর – একদিকে যখন তৃণমূল নেত্রী ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগবেন – ঠিক তখনই দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ, বিধায়ক, নেতা – দলের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে গেরুয়া শিবিরে পদার্পন করবেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর তিনি বিজেপিতে যোগদানের পরেই তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন – সেদিন সকালেই নাকি দল থেকে সৌমিত্রবাবুকে বহিস্কার করা হয়। অথচ দলের বর্তমান সাংসদকে দল থেকে বহিস্কার করার মত এতবড় ঘোষণা – কোনো সাংবাদিক বৈঠক বা প্রেস বিজ্ঞপ্তি পার্থবাবু বা শাসকদলের তরফে দেওয়া হয় নি – যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়।

আর তাই সেদিনই, আর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে দলের আরেক সাংসদ অনুপম হাজরাকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিস্কার করা হয়। যদিও, দলবিরোধী কাজটা ঠিক কি – তা স্পষ্ট করা হয় নি শাসকদলের তরফে। ফলে, গুঞ্জন ওঠে অনুপমবাবুও সৌমিত্রবাবুর দেখানো পথেই বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে এই পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, অনুপমবাবু ইতিমধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গেছেন এবং তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়ে গেছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠেছে – অনুপমবাবুর পাশাপাশি আর কে কে শাসকদল থেকে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন?

গেরুয়া শিবিরের নেতারা এই ব্যাপারে একেবারে ‘স্পিকটি নট’। তাঁদের দাবি তালিকাটি দীর্ঘ আর এঁদের খবর নাকি স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর কাছেও আছে। এমনকি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে সাম্ভাব্য দলবদলকারীদের উপর নজরদারি চালাতে দিল্লিতে গোপনে গোয়েন্দাও পাঠানো হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের এক নেতা স্মিত হেসে শুধু বললেন, যাই করুন ১৯ শের ধাক্কা তৃণমূল সামলাতে পারবে না। আমরা শুধু শাসকদলকে একটাই অনুরোধ করব – ইতিমধ্যেই ওনাদের দলের ‘আবর্জনার তালিকাটা’ প্রকাশ করে দিন। দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর জনপ্রতিনিধিদের এই ‘আবর্জনা’ তকমা দেওয়াটা মানুষ আর নিচ্ছে না!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!