এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের সরকারি ঘোষণাতেই বিভেদ ভুলে গুরুংকে কাছে টানার প্রক্রিয়া মমতা পন্থী মোর্চা নেতাদের

তৃণমূলের সরকারি ঘোষণাতেই বিভেদ ভুলে গুরুংকে কাছে টানার প্রক্রিয়া মমতা পন্থী মোর্চা নেতাদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বুধবার পঞ্চমীর দিন বিকেলে বিমল গুরুংকে দেখা গেল কলকাতার রাজপথে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের কথা তিনি জানালেন। এই ঘটনার পর বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা পাহাড়ে এসে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন বলে জানালেন জিটিএর চেয়ারম্যান অনীত থাপা। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি জানালেন যে, পাহাড়ে বোমা-গুলির রাজত্ব আর চলবেনা। তিন বছর ধরে পাহাড়ে যে শান্তি বিরাজ করছে, সেই শান্তি বজায় রাখতে হবে। সেইসঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে সকলকে নিজেদের কাজ করে যেতে হবে।

তবে, বিমল গুরুংএর প্রতি জিটিএ চেয়রাম্যান অনীত থাপার বক্তব্য, গত, ২০১৭ সালের আন্দোলনের সময় থেকে ফেরার বিমল গুরুং। সরকারি সম্পত্তি এই আন্দোলনে কতটা নষ্ট হয়েছে, কত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, কত দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে পাহাড়। সেই সমস্ত কিছু ভুল ছিল বলে বিমল গুরুং এখন ফিরতে চান। তাঁর বক্তব্য, এমন ধরনের চেয়ার সর্বস্ব নেতা সম্পর্কে পাহাড়বাসীরাই বিবেচনা করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ তিন বছর আগে গুরুং এই ভুলটা বুঝলে ভাল করতেন। কে আসবে আর কে না, তা নিয়ে ভাবছি না। ’’

প্রসঙ্গত, পঞ্চমীর দিন বিকেলে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাতের কথা ঘোষণা করলেন বিমল গুরুং। তবে এই মুহূর্তে তিনি পাহাড়ে ফিরবেন কিনা সে কথা তিনি জানাননি। আবার বিনয় তামাং, অনীত থাপার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক হবে কিনা সে বিষয়েও বহু প্রশ্ন রয়েছে? প্রকাশ্যে অবশ্য বিনয় তামাং, অনীত থাপা তাঁর বিরোধিতা করেননি। কিন্তু গত বুধবার কলকাতায় গোর্খা ভবনে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে বিমল গুরুংকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, আবার বিনয় তামাং, অনীত থাপার মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। অনীত থাপা বিনয় তামাং এর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বহুবার প্রশংসাও করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, ৬ মাস জেল খেটে যখন তিনি বাইরে আসনে, তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, পাহাড়ে যা ঘটছে তা সব ভুল ছিল। অন্যদিকে বিমল গুরুংকে সম্প্রতি বলতে শোনা গেছে, “পাহাড়ের মানুষকে সঠিক নেতা বাছতে হবে। আমরা গোর্খাল্যান্ড বেচে রাজনীতি করি না। ওটা অনেক বড় বিষয়। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে শান্তিতে, উন্নয়নে যজ্ঞে থাকায় বিশ্বাসী।”

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে গেরুয়া শিবিরকে একটা বিরাট ধাক্কা দিতেই বিমল গুরুংকে কাছে টেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে বিনয় তামাং, অনীত থাপার কিভাবে সুসম্পর্ক তৈরি হবে? সে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তৃণমূলকে। জিটিএর মূল চাবিকাঠি অনীত থাপার হাতে রেখেও বিমল গুরুংকে কিছু ক্ষমতার ভাগ দেওয়া সম্ভব কি-না তা নিয়ে ভাবছে তৃণমূল। যদিও বিনয় তামাং এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি।

অন্যদিকে বিমল গুরুংয়ের তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য জানালেন, ” বিমল বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী যা বলেন কথা রাখেন। অর্থাৎ বিজেপি গোর্খাল্যান্ড দেওয়ার কথা রাখেনি, তৃণমূল সেটা রাখবে। তাই যে রফা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসুক। বিধানসভায় অধিবেশন হোক।’’ সিপিএম শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অভিযুক্ত বিমল গুরুংকে কেন গ্রেফতার করা হলো না? এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জবাব, পাহাড়ের রাজনীতির বিষয়ে অশোক বাবুর না আসাই ভাল। তৃণমূলের অভিযোগ ঘোলা জলে মাছ ধরার রাজনীতি করে থাকে সিপিএম।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!