এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এবার কি বর্ধমানে শুরু গোষ্ঠী সংক্ৰমন? উৎকন্ঠা বাড়তেই বিশেষ সমীক্ষা শুরু প্রশাসনের

এবার কি বর্ধমানে শুরু গোষ্ঠী সংক্ৰমন? উৎকন্ঠা বাড়তেই বিশেষ সমীক্ষা শুরু প্রশাসনের


করোনা আবহে রাজ্যের পূর্ব বর্ধমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ জন এমনটাই জানা গেছে রাজ্য সরকারের বুলেটিন মারফত। এদিকে এই সংখ্যা অস্বীকার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ জন। প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমণকে ৪ টি ধাপে ভাগ করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি হলো ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ অর্থাৎ সংক্রমণ ছড়াবে গোষ্ঠীতে কিন্তু কোনো উৎস খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এদিকে পূর্ব বর্ধমানের আউশ গ্রামের গঙ্গারামপুর এলাকায় এক যুবকের শরীরে পাওয়া গেছে করোনা সংক্রমন। জানা গেছে সেই যুবকের কলকাতার সাথে কোনো যোগাযোগ ছিল না। বিষয়টি গোষ্ঠী সংক্রমণের দিকে যাচ্ছে কিনা সে বিষয় জেলার মুখ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানান, “গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে কি না জানার জন্য ‘সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স’ করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে দু’শো জনের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।”

সূত্রের খবর মারফত জানা গেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে পূর্ব বর্ধমানের যে বুলেটিন দেওয়া হয় তাতে যথেষ্ট গড়মিল আছে। জানা গেছে বুলেটিনে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এমন এক যুবককে যে করোনা আক্রান্ত নয়। আবার পশ্চিম বর্ধমানের একজনকে পূর্ব বর্ধমানের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনজনের করোনা সংক্রমণের উৎস কলকাতা কিন্তু ঠিকানা দেখে তাদের পূর্ব বর্ধমানের তালিকাভুক্ত করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর এদিন জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, “জেলা থেকে ব্লক সব জায়গাতেই নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার হার বেড়ে গিয়েছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক রজত নন্দের কথায়, গত ১০ দিনে প্রায় ৪ হাজার মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩৫০-৪০০ জনের নমুনা পরীক্ষা চলছে। আপাতত খন্দঘোষ ছাড়া জেলার সব এলাকার মানুষেরই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ‘সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স’ সমীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন বেশি ঝুঁকি পূর্ণ মানুষদের নমুনা পরীক্ষা আগে করত হবে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণ কিছুটা হলেও বাগে আনা যেতে পারে বলে মনে করেছেন তারা এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গেছে ‘সেন্টিনেল সার্ভেল্যান্স’ সমীক্ষা অনুযায়ী বেশি ঝুঁকিপূর্ন ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এই দুই ভাগে নমুনা পরীক্ষা হবে। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষার ক্ষেত্রে তালিকা ভুক্ত হবেন ২০ জন চিকৎসক, ২০ জন নার্স, ২০ জন এএন‌এম, ৩০ জন আশাকর্মি এবং ১০ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী। এই তালিকায় প্রতি সপ্তাহে মোট ১০০ জন থাকবেন।

অন্যদিকে কম ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষার তালিকায় থাকবেন ৫০ জন প্রসূতি ও ৫০ জন অন্যান্য রুগী মিলিয়ে মোট ১০০ জন। তবে ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস’ বা ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস’-এর রোগীরা কোনোভাবেই এই তালিকাভুক্ত হবেন না কারণ তাদের সক্রমনের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি এমনটাই সূত্রের খবর। প্রতি সপ্তাহে ১০০ জন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১০০ জন কম ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের নমুনা পাঠানো হবে নাইসেডে। পরীক্ষার ফল অনুযায়ী বোঝা যাবে পূর্ব বর্ধমান গোষ্ঠী সংক্রমণের প্রকোপে পড়েছে কিনা এমনটাই জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!