দিদিকে বলো সুপারহিট বলেই উপনির্বাচনে সাফল্য! বিজেপিকে থামাতে আরও জোরদার জনসংযোগ তৃণমূলের কলকাতা রাজ্য December 2, 2019 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস 42 এ 42 স্লোগান তুলেছিল। কিন্তু ফলাফলের পর তাদের ভাগ্যে 22 এবং বিজেপির দখলে 18 টি আসন চলে গিয়েছে। ফলে তৃণমূল বিজেপির থেকে চারটি আসন বেশি পেলেও তাদের কাছে যে এটা অত্যন্ত চাপের কারণ, তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন প্রত্যেকেই। কেন এরকম ফলাফল হল, তা নিয়ে সেই ফলাফল প্রকাশের পরই তৃণমূলের অন্দরে নানা পর্যালোচনা হয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে জনসংযোগের অভাব। আর সেই ঘটনাকে মান্যতা দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের মত ব্যাক্তিকে দলের রননীতিকার করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দায়িত্ব নেওয়ার পরই তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের জনসংযোগের অভাব মেটাতে দিদিকে বলোর মতো কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। যার পেছনে প্রশান্ত কিশোরের সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক রয়েছে বলে দাবি করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যে দিদিকে বলো কর্মসূচির অংশ হিসেবে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতারা সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের অভাব অভিযোগ শোনার পাশাপাশি তাদের সাথে কথা বলেন। এমনকি অনেক বাড়িতে রাত কাটাতেও দেখা যায় তৃণমূলের নেতৃত্বকে। আর একেবারে রাউন্ড লেভেলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে এইভাবে মিশে যাওয়ার ফলেই যে লোকসভার 6 মাস পেরোতে না পেরোতেই বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল সাফল্য পেয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, রাজ্যের করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জের সদ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার ফলাফলও প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। যেখানে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - করিমপুর তৃণমূলের ক্ষেত্রে সেফসিট হিসেবে ধরা হলেও, লোকসভায় বিজেপি কালিয়াগঞ্জ এবং খড়্গপুরে যেভাবে সাফল্য পেয়েছে, তাতে সেখানে তৃণমূল কিভাবে দাগ কাটল! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। একাংশ বলছেন, এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে এনআরসি ইস্যু বিজেপির বিপক্ষে গিয়েছে। তাই এর ফলে বিজেপির কিছু ভোট কাটা গেলেও, যে ব্যাপক ভোট তারা লোকসভায় পেয়েছিল, তা কি করে কর্পূরের মত বিধানসভা উপনির্বাচনে উবে গেল! তা নিয়ে সন্দিহান ছিল বিশেষজ্ঞরা। তবে অবশেষে বেরিয়ে এল রহস্য। অনেকে বলছেন, ভোটে জেতার পর সাধারণ মানুষের সঙ্গে নেতা, মন্ত্রী-সাংসদরা আর সেইভাবে যোগাযোগ রাখেন না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ওঠে। তবে লোকসভায় তৃণমূল খারাপ ফলাফল করার পর দলের দায়িত্ব নেওয়া প্রশান্ত কিশোর সেই ব্যাপারটির অভাব মেটাতে “দিদিকে বলো” কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূল নেতাদের পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে এই “দিদিকে বলো” এবার তৃণমূলকে যে 3-3 করে দিয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। এমনকি তৃণমূলের অনেক নেতাও একথা স্বীকার করে নিচ্ছেন। তাদের মতে, প্রশান্ত কিশোরের এই অভিনব কর্মসূচি দলকে সাফল্য পাইয়ে দিয়েছে। যার ফলে এখন বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল 3-3 পেলেও আগামী 2021 এর মূল বিধানসভা নির্বাচনে যাতে এই সাফল্য বজায় থাকে, তার জন্য “দিদিকে বলো” কর্মসূচির ওপর আরও জোর দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। তবে উপনির্বাচনের প্রেক্ষিত আলাদা হলেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের এই কর্মসূচি তৃণমূলকে সাফল্য পাইয়ে দিতে কতটা সাহায্য করে, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিশেষ করে উপনির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পর গেরুয়া শিবির যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও বেশি কোমর বেঁধে ময়দানে নামবে – এই নিয়ে নিঃসন্দেহ প্রায় সকলেই যেখানে। আপনার মতামত জানান -