বঙ্গের বিজেপি নেতাদের ভয় পেতে শুরু করেছে প্রশাসন! বিস্ফোরক দাবি পরিষদ নেতার কলকাতা রাজ্য July 5, 2018 বঙ্গের বিজেপি নেতাদের নিয়ে যে বর্তমান শাসকদল কতখানি চিন্তিত তা নিয়ে রীতিমত ‘বোমা’ ফাটালেন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। মুকুল রায় সহ বাংলার বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ত্বকে রীতিমত ভয় পেতে শুরু করেছে প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী বুঝে গেছেন গেরুয়া শিবিরের কাছে তাঁর সরকার ও দলে কি পরিমান ধাক্কা লাগতে চলেছে। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তাঁদের আটকাতে তিনি ক্রমশ মরিয়া হয়ে উঠছেন। হঠাৎ কেন এরকম বিস্ফোরক হলেন দেবাশিসবাবু? খোঁজ নিতে প্রিয় বন্ধু বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক মন্মথ বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি জানান, আগামী কাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে ভারতমাতার মহান সন্তান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ১১৮ তম জন্মদিবস কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী কর্মচারী পরিষদের ডাকে ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের সহযোগিতায় পালন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করার কথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের, উপস্থিত থাকতে পারেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুও। কিন্তু আজ বিকেলে হঠাৎ করে নজিরবিহীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার এক নির্দেশিকা পাঠান যাতে লেখা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও কর্মীরা ছাড়া ‘বহিরাগতরা’ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা কাকে অতিথি করে নিয়ে আসব তা প্রশাসন এইভাবে কি করে নির্দেশিকা দিয়ে বলে দিতে পারে? এ তো রীতিমত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে গলা টিপে হত্যা করার পরিকল্পনা! এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে দেবাশিসবাবু জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল নেত্রী বুঝে গেছেন বাংলায় বিজেপির হাত ধরে এবার পরিবর্তনের পরিবর্তন আসন্ন। আর মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই যে রাজ্যজুড়ে দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য শীর্ষ বিজেপি নেতাদের নেতৃত্ত্বে গেরুয়া হাওয়া তীব্রতর হয়েছে তা অস্বীকার করার কোনো জায়গা নেই। আর তাই প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিজেপি শীর্ষ নেতাদের প্রতিটি পদক্ষেপকে প্রতিহত করার মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যান্যদের কথা ছেড়ে দিলাম শাসকদলের বহু নেতা-মন্ত্রীর এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে অনুষ্ঠান করার নজির আছে, তখন তো কেউ ‘বহিরাগতের’ তত্ত্ব খুঁজে পান নি। আর সব থেকে বড় কথা বিজেপির বঙ্গ-শিবিরের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সায়ন্তন বসু সহ অনেকেই তো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তাছাড়া শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় হলেন জাতীয় চরিত্র সুতরাং তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় এলে সেটা তো আরো গৌরবের হবে, এইভাবে নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে একজন দেশের মহান নেতাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো থেকে আটকানো কি ইঙ্গিত করছে? এইভাবে কি মানুষের কারোর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রশাসন দিয়ে আটকানো যায়? নাকি তা গণতান্ত্রিক? আসলে কাউকে কোনো সরকার ভয় পেলে তখন এরকম জোর করে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মুকুল রায় সহ বিজেপি শীর্ষ-নেতৃত্ত্বাকে যে তৃণমূল নেত্রী ভয় পেতে শুরু করেছেন এই ঘটনায় তা আবার প্রমান হয়ে গেল। আপনার মতামত জানান -