এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলায় কি আবার ফিরছে মাওবাদ আতঙ্ক? গোয়েন্দা রিপোর্টে জল্পনা তুঙ্গে

বাংলায় কি আবার ফিরছে মাওবাদ আতঙ্ক? গোয়েন্দা রিপোর্টে জল্পনা তুঙ্গে


মাওবাদীদের দাপটে ফের কাঁপতে চলেছে জঙ্গলমহল, এমনটাই আশঙ্কা প্রশাসনের। মাওবাদীদের সশস্ত্র নেতা আকাশ ওরফে অসীম মন্ডলের নেতৃত্বে বেলপাহাড়ি, বিনপুরের মতো এলাকায় মাওবাদীদের সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে সম্প্রতি বলে জানা গেছে। বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে ঢুকছে মাওবাদীরা – একজোট হচ্ছে, এমনটাই খবর পাওয়া গেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের সূত্র থেকে।

প্রসঙ্গত, কিষেণজির মৃত্যুর পর মাওবাদীরা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। দল বেঁধে আত্মসমর্পণও করেছিলো একসময়। কিন্তু হঠাৎ করে কেন মাওবাদী কার্যকলাপ চাঙ্গা হওয়ার ইঙ্গিত লক্ষ্য করা গেল এতোদিন পর? তাই নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে প্রশাসনিক মহলে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের একাংশের ধারণা, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে বলা যায় জঙ্গলমহলে ক্রমশ তৃণমূলের শক্তি কমছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে বিজেপির সংগঠন পোক্ত হচ্ছে। আগে এলাকায় তৃণমূলের রমরমা ছিল, তার জেরে মাওবাদীরা কোনঠাসা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের সমর্থন বিজেপির দিকে ঝুঁকছে – ফলে তৃণমূলের যে আঁটোসাঁটো সংগঠন ছিল তা কিছুটা খাপছাড়া।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এছাড়াও, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের দাবি – শাসকদলের নেতাদের আর্থিক বৃদ্ধি ভালোভাবে নিচ্ছেন না স্থানীয়রা। আর তাঁদের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাচ্ছে মাওবাদীরা। এই অবস্থা দেখে পুলিশের একাংশেরও মতামত নব্বই-এর দশকে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে হাতিয়ার করেই রাজ্যে মাওবাদের মেরুদন্ড সোজা হয়েছিল, এখনও সেরকম পরিস্থিতি দানা বাঁধতে শুরু করেছে। আর তাই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় মাটি শক্ত হচ্ছে মাওবাদীদের – আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আতঙ্ক সৃষ্টির।

উল্লেখ্য, বাংলায় মাওবাদ প্রভাবিত চারটি জেলাই রয়েছে – বাকিগুলো অনেকটাই মাওবাদী আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেলেও ঝাড়গ্রামকে এখনো মাওবাদ অধ্যুষিত এলাকা বলেই চিহ্নিত করা হয়। এই মুহূর্তের মাওবাদী কার্যকলাপের অন্যতম চক্রী আকাশ পশ্চিম মেদিনীপুরেরর বাসিন্দা। এমনকি মাও রাজ্য কমিটির একমাত্র জীবিত সদস্য সে। মাওবাদীদের রাজ্য কমিটির সেক্রেটারিও আকাশ – এমটাই জানা গেছে।

বাংলায় যে মাও স্কোয়াড এখন অত্যন্ত সক্রিয় তাতে রয়েছে ১২-১৫ জন গেরিলা সদস্য বলেই অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গেছে। গত কয়েকমাসেই ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় মাওবাদীদের সক্রিয়তা বেশি নজরে এসেছে। এ প্রসঙ্গে সিআরপিএফের ডিজিও সম্প্রতি কলকাতায় এসে উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনাও করে গেছেন বলে জানা গেছে। এখন রাজ্যসরকারের তরফ থেকে এর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাই দেখার – তবে নবান্ন কর্তাদের এই প্রসঙ্গে কেনো সরকারি প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!