এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহল কি আবার ধীরে ধীরে মাওবাদীদের “হাতে” চলে যাচ্ছে? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা!

জঙ্গলমহল কি আবার ধীরে ধীরে মাওবাদীদের “হাতে” চলে যাচ্ছে? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতি সকালেই মানুষের চোখ ভাঙত‌ রক্তমাখা মৃতদেহ দেখে। তবে 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের উপদ্রব অনেকটাই কমেছে। এখন সেভাবে আর মৃত্যুমিছিল এখানে দেখা যায় না। শান্ত হয়ে গিয়েছে এলাকা।

আর এমত পরিস্থিতিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে দুবার জঙ্গলমহলের গ্রামে ঢুকে বৈঠক করলেন মাওবাদী নেতা নেত্রীরা। জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে কয়েকটি গ্রামে কালো পতাকা উত্তোলন করার ফতোয়া দিয়েছিলেন তারা‌। এমনকি একাধিক জায়গায় মাওবাদীদের পোস্টার পড়তেও দেখা যায়। যার ফলে এখন সংশয় তৈরি হয়েছে, তাহলে কি আবার জঙ্গলমহলে মাথাচাড়া দিচ্ছে মাওবাদীরা?

বস্তুত, শনিবার সকালে জঙ্গলমহলের বেশকিছু বাসিন্দা ঘুম থেকে উঠে রাস্তার ধারে দেখতে পান মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। সাদা কাগজে লালকালিতে হাতে লেখা স্বাধীনতা দিবসকে “কালা দিবস” হিসেবে পালন করার ডাক দেওয়া হয়েছে। আর অতীতের পোস্টারের সঙ্গে এই পোস্টারের মিল থাকায় বাসিন্দাদের কাছে এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এটা মাওবাদীদের তরফ থেকে দেওয়া পোস্টার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই এখন গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ কর্তা বলেন, “আমরা পোস্টারের বিষয়ে তদন্ত করছি। যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কারণ একসময় এই এলাকাগুলো মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল ছিল।” গোয়েন্দাদের একটি অংশ জানাচ্ছে যে, 27 শে জুলাইয়ের পর বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় শিমুলপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়খন্ড লাগোয়া প্রত্যন্ত কয়েকটি গ্রামে মাওবাদীদের স্কোয়াড এসে পৌঁছেছে।

যেখানে বিভিন্ন মাওবাদী নেতারা ঘোরাফেরা করছেন বলে খবর। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য গোয়েন্দা শাখার এক আধিকারিক বলেন, “ওই এলাকা লালগড় আন্দোলনের আগে থেকেই মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। ভৌগোলিকভাবে গ্রামগুলো অনেক বেশি ঝাড়খণ্ডের কাছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের গভীর জঙ্গলে পৌঁছে যাওয়া যায় এই গ্রামগুলো থেকে। তাই আবার এই গ্রামগুলোতে মাওবাদীদের আসা-যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।”

অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসকে “কালা দিবস” পালনের ডাক দিয়ে যেভাবে ফতোয়া পড়তে দেখা গেছে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায়, তাতে তা যে মাওবাদীদের পোস্টার, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বাসিন্দারা। তবে গোয়েন্দারা এই ব্যাপারে তদন্ত করে এগোতে চাইছেন। কিন্তু একাংশ নিশ্চিত যে, এর পেছনে মাওবাদীদের যোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন জঙ্গলমহল শান্ত থাকলেও, এবার যেভাবে পোস্টার পড়ার মত ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে, তাতে আবার কি মাওবাদীদের উপদ্রবে অশান্ত হতে চলেছে জঙ্গলমহল! এখন এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!