এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহেও কি সিএ নিয়ে ঘুম উড়েছে মোদী-শাহর? মোদী ২.০ সরকারের বর্ষপূর্তিতে বাড়ল জল্পনা

করোনা আবহেও কি সিএ নিয়ে ঘুম উড়েছে মোদী-শাহর? মোদী ২.০ সরকারের বর্ষপূর্তিতে বাড়ল জল্পনা


দ্বিতীয়বার কেন্দ্রের ক্ষমতা দখল করার পরেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। 370 ধারা বিল বাতিল, তিন তালাক বাতিল সহ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই বিজেপি সরকারের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে দেশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এক বছরের মধ্যে বিজেপি সরকার দেশের উন্নয়নে ঠিক কি কি কর্মসূচি নিয়েছে, তা সাফল্যের সঙ্গে মানুষের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগী বিজেপির নেতা কর্মীরা।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বিজেপির সাফল্যের তালিকায় 370 ধারা বাতিল সহ তিন তালাক বাতিল ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যকে সাহায্য করার কথা উঠে এলেও সেখানে নেই এনআরসি এবং সিএএর কথা। আর এই ঘটনা নিয়ে তীব্র জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেননা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই এনআরসি-সিএএ নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পরেই দেশের নানা মহলে শোরগোল পড়ে যায়। যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে, সেখানে তারা এই বিল বাতিলের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ জানাতে শুরু করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিলের পক্ষে তারা প্রচার করলেও, ক্রমশ তাদের অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে। এমনকি বেশ কিছু রাজ্যের নির্বাচনে এই এনআরসির জন্যই বিজেপি কুপোকাত হয়েছে বলে দাবি করে রাজনৈতিক মহল। তাই এই পরিস্থিতিতে নিজেদের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে গিয়ে সেখানে এনআরসি-সিএএকে এনে নিজেদের জনমতকে নষ্ট করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। আর তাই সেখানে তারা এই বিষয়টিকে বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত বিষয় সাফল্যের সঙ্গে তুলে ধরেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, বর্তমানে করোনা সংকটের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে দেশ‌। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেশকে ভয়াবহ সঙ্কট থেকে বাঁচাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাই নিজেদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সেই সমস্ত বিষয় সাফল্যের তালিকা তুলে ধরছে তারা। কিন্তু এর মধ্যে যদি এনআরসির বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আবার বিজেপি সম্পর্কে প্রশ্ন উঠতে পারে।

তাই সেই সমস্ত দিকে না গিয়ে নিজেদের সমস্ত সাফল্যের বিষয়গুলো তুলে ধরে শুধুমাত্র এনআরসির বিষয়কে বাদ রেখে মানুষের মন জয় করতে উদ্যোগী হলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার এক বছরের সাফল্য নানা বিষয় তুলে ধরা হলেও, এনআরসির বিষয় না থাকায় – রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছেই। মুখে যতই বলা হোক, আদতে এই নিয়ে কি অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির? প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে। এখন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই নিয়ে ঠিক কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!