এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় চাপ কি বাড়ছে? মুকুল রায়ের নতুন পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা

তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় চাপ কি বাড়ছে? মুকুল রায়ের নতুন পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা


গত 9 ফেব্রুয়ারি ভর সন্ধ্যেবেলা দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন নদীয়ার হাঁসখালির তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এর পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই খুনের ঘটনায় মুকুল রায়ের দিকে বারংবার অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হয়। মুকুল রায়ের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআর-এ নাম থাকায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন মুকুল রায়। তবে মুকুল রায় খুনের অভিযোগকে ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছিলেন। জামিনের আবেদন করা মুকুল এবং জগন্নাথ অব্যাহতি পান পরবর্তীতে সেই খুনের মামলা রিওপেন হয়। এবং এবার খুনের তদন্তে মুকুল রায়ের নতুন পদক্ষেপে বেড়ে উঠল জল্পনা।

তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস যখন খুন হয়েছিলেন, তখন মুকুল রায় সহ অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। যদিও আদালত জগন্নাথ সরকারকে অব্যাহতি দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মামলাটি রিওপেন হয় এবং আবারও মুকুল রায়ের ওপর আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এদিন সেই মামলা সূত্রেই বিচারকের কাছে আরও কিছু সময় চাইলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। শনিবার রানাঘাট আদালতে মুকুল রায়ের আইনজীবী এই আবেদন করেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত হয়েও ছাড় পাওয়া আরেক নেতা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের আইনজীবী আদালতে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। আদালতের পক্ষ থেকে আগামী শনিবার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।

গত 9 ফেব্রুয়ারি হাঁসখালিতে খুন হয়েছিলেন হাঁসখালির বিধায়ক সত্যজিৎ তথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাস। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে 3 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। এবং বাকি দুজন যথা মুকুল রায় এবং জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না বলে তারা অব্যাহতি পান‌। পরে মিলন সাহা নামক একজন আদালতে রিভিশন পিটিশন দাখিল করেন এবং বলেন, মামলা চলাকালীন সন্দেহজনক তালিকায় থাকা দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া ঠিক হয়নি। এই মর্মে মামলাটি আবার শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এদিন জগন্নাথ সরকারের আইনজীবী রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ওই ঘটনায় মিলন সাহার আবেদন জানানো আইনগ্রাহ‍্য নয়। প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থা তা করতে পারত। তাঁদের উচিত ছিল, পুনরায় তদন্তের জন্য জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে দরখাস্ত করা।’ অন্যদিকে সরকারপক্ষের আইনজীবী শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, অসীম কুমার দত্ত এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাবে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই সব করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে যে কেউ আবেদন জানাতে পারেন। মুকুল রায়ের আইনজীবী সময় চেয়েছেন। আগামী শনিবার মহামান্য বিচারক তাঁর বক্তব্য শুনবেন।’

অন্যদিকে, সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন মুকুল রায়। তিনি বারংবার বলেন, সত্যজিৎ বিশ্বাস এর খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। অন্যদিকে মুকুল রায় অভিযোগ করেন ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর নাম এই মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের যেখানেই অন্তর্দ্বন্দ্ব হচ্ছে বা দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হচ্ছে, সবকিছুতেই কোথাও দিলীপ ঘোষ বা কোথাও মুকুল রায়ের নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন। তবে উপনির্বাচনে হারের পর এবার বিজেপি শিবিরে নতুন অস্বস্তি এই ঘটনায়। এই অস্বস্তিকে কিভাবে বিজেপি কাটায়, তা দেখার জন্য মুখিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!