এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শিলিগুড়ি পদ নিয়ে কি এবার নতুন করে অস্বস্তি বাড়তে চলেছে অশোক ভট্টাচার্যের? বাড়ছে জল্পনা

শিলিগুড়ি পদ নিয়ে কি এবার নতুন করে অস্বস্তি বাড়তে চলেছে অশোক ভট্টাচার্যের? বাড়ছে জল্পনা


মেয়াদ উত্তীর্ণ কলকাতা পৌরসভায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক করা হয়েছিল সেখানকার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। আর তারপরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে ঘিরে প্রশ্ন তোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়। যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয় যে, নিজেদের দলের নেতাকে পৌরসভার প্রশাসক করে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ক্ষমতাকে রাখতে চাইছে।

তবে বিরোধীদের পাল্টা মাস্টার স্ট্রোক দিতে বিরোধীদের দখলে থাকা বিভিন্ন পৌরসভাতেও সেখানকার বিদায়ী মেয়র বা চেয়ারম্যানকে প্রশাসক করা হবে বলে জানানো হয় রাজ্যের তরফে। যেখানে শিলিগুড়ি পৌরসভা বামেদের থাকায় সেখানে প্রশাসক করা হবে বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে। আর একথা জানার পরই সিপিএমের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা রাজনৈতিক মহল।

কেননা কলকাতা পৌরসভার ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক করার পরেই যে সিপিএম তার এত বিরোধিতা করেছিল, সেই সিপিএমের দখলে থাকা শিলিগুড়ি পৌরসভায় যদি অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক করা হয়, তাহলে তারা যদি নিশ্চুপ থাকে, তাহলে জনমানসে তাদের দুমুখো নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হতে পারে। অবশেষে শিলিগুড়ি পৌরসভায় প্রশাসক পদে অশোক ভট্টাচার্যকে বসানো হলেও, তা প্রথমে প্রত্যাখ্যান করে দেন সেই অশোকবাবু।

যেখানে তৃণমূল কাউন্সিলরদের সেই বোর্ডে উপস্থিতি দেখে তার চরম বিরোধিতা করেন তিনি। পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তা সংশোধন করে একটি নতুন বোর্ডের তালিকা পাঠানো হয়। তাকে স্বাগত জানান তিনি। কিন্তু এবার প্রশাসক পদ নিয়েই বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়তে চলেছেন শিলিগুড়ি পৌরসভার মেয়র তথা প্রশাসক অশোক রঞ্জন ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সিপিএমের পক্ষ থেকে প্রশাসক বোর্ড দিয়ে পৌরসভা চালানোর ব্যাপারে বিরোধিতা করা হলেও, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি দিয়ে অশোক ভট্টাচার্য অনেক আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি প্রশাসক মন্ডলীর মাধ্যমে পুরসভা পরিচালনা করায় বিরোধী নন। আর এতেই সমস্যায় পড়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে অশোক ভট্টাচার্যের তরফে একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। যা পৌঁছে গিয়েছে সিপিএমের শীর্ষ নেতাদের হাতে।

যেখানে দেখা গেছে, গত 9 তারিখ রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে লেখা একটি চিঠিতে অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন, আইনের কোন ধারায় প্রশাসক বা প্রশাসক মন্ডলী বসানোর সুযোগ রয়েছে! আর তার এই বক্তব্য থেকেই সিপিএমের অনেকে মনে করছেন, সরাসরি না বললেও এই চিঠির মাধ্যমে অশোকবাবু বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি পৌরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশাসক মাধ্যমে পরিচালনা করার বিরোধী নন। কিন্তু দলগতভাবে সিপিএমের বিরোধী থাকায় অশোক ভট্টাচার্যের তরফ থেকে পুরমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অনেকে বলছেন, সিপিএমের মধ্যে এই ব্যাপারে জোর চর্চা চলছে। দল যখন প্রশাসক মন্ডলী দিয়ে পৌরসভা পরিচালনার প্রবল বিরোধি, তখন পুরমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এই চিঠি নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়বে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বলে মনে করছে একাংশ। আর তাই এখন এই ব্যাপারে অশোক ভট্টাচার্যকে দলের অন্দরে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে অনেকের।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে সেই অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে নির্বাচন না হলে আইনে কি, বলা রয়েছে, তা জানতেই আমি ওই চিঠি দিয়েছি। এর মধ্যে অন্য কোনো অর্থ খোজা বৃথা।” তবে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শেষ পর্যন্ত এই ব্যাপারে দলের অন্দরে অশোক ভট্টাচার্যকে কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

বিশেষ করে এরপরে অশোক ভট্টাচার্য যদি শিলিগুড়ির প্রশাসক হিসাবে কাজ চালাতে রাজি হন তাহলে পুরসভায় প্রশাসক বসানো নিয়ে বামেদের আন্দোলন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে তিনি যদি রাজি না হন, তাহলে তৃণমূল পাল্টা প্রচারে নামবে বামেদের সদিচ্ছা নিয়ে। প্রশাসক পদ প্রত্যাখানের জন্য তিনি আগে বাড়িয়ে নিজের যুক্তি প্রকাশ্যে আনতেই, তৃণমূল তাঁর কথা মেনে নেয় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই। আর তারফলে কার্যত দ্বিমুখী ‘বিপদে’ দিশেহারা আলিমুদ্দিন স্ট্রিট! আর তাই দলের একাংশ মনে করছে অশোকবাবুর আগে বাড়িয়ে মন্তব্য করার ফলেই এই অবস্থা! ফলে সবমিলিয়ে তৃণমূলের চালে আপাতত শিলিগুড়ি নিয়ে প্রবল চাপে অশোক ভট্টাচার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!