এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের মাস্টারস্ট্রোক? বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতে জোড়া ফলার আক্রমন? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা

পিকের মাস্টারস্ট্রোক? বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতে জোড়া ফলার আক্রমন? ক্রমশ বাড়ছে জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে ১৮ টি ছিনিয়ে নিয়েই, হুঙ্কার ছাড়তে থাকে এবার লক্ষ্য নবান্নের কুর্শি। আর তৃণমূলও পরিস্থিতি বেগতিক তড়িঘড়ি ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরকে নিজেদের রণনীতিকার হিসাবে নিযুক্ত করে। আর প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নিয়েই একের পর এক চোখ ধাঁধানো কর্মসূচী নিয়ে তৃণমূলের পালে হাওয়া ফেরানোর চেষ্টায় আছেন। আর সেই কাজে যে তিনি বেশ সফল, তা তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলেই প্রমাণিত।

আর এবার শুধু তৃণমূলের পালে হাওয়া তোলাই নয়, বাংলায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক ভেঙে ছিন্নভিন্ন করতে একযোগে দু-দুটি মাস্টারস্ট্রোক দিতে চলেছেন পিকে বলে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা। বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে তীব্র গতিতে হঠাৎ করে উঠে আসছে দু-দুটি দল, যাদের কার্যত বঙ্গ-রাজনীতিতে কোনো অস্তিত্বই ছিল না। একটি আম আদমি পার্টি ও অপরটি শিবসেনা। আর এই দুই পার্টির উত্থানেই এবার সামনে আসছে নতুন সমীকরণ।

প্রথমে যখন বাংলায় আপ সংগঠনের জাল বিস্তার করবে বলে শোনা যাচ্ছিল, তখন মনে করা হচ্ছিল – এতে তৃণমূলের চিন্তা বাড়বে। কেননা আপ সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাতে পারে। কিন্তু আপের সঙ্গে শিবসেনাও বাংলায় সংগঠন বিস্তার শুরু করতেই – অনেকেই এর পিছনে পিকের অঙ্ক দেখছেন। প্রথম কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের মতোই পিকে আম আদমি পার্টি ও শিবসেনারও ররণনীতিকার। তাঁর জন্যই আজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সুতরাং, তাঁরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, যাতে পিকে বিপাকে পড়েন। সুতরাং তৃণমূলের ভোট কাটতে আপ বা শিবসেনা কোমড় বাঁধবে না। অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুবই ভালো। তিনজনেই তীব্র বিজেপি বিরোধী – ফলে আপ বা শিবসেনা যদি তৃণমূলের ভোট কাটে তাহলে সরাসরি ফায়দা যাবে বিজেপির পক্ষে। যা তাঁরা কেউই চাইবেন না। ফলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্যই যে বাংলায় এই দুই রাজনৈতিক দলের আগমন, তা নিয়ে নিঃসন্দেহ সকলে।

কিন্তু কি করে কাজ করবে এই মডেল? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন – শিবসেনার অঙ্ক বুঝতে খুব একটা অসুবিধা নেই। বিজেপির বাংলায় উত্থান হচ্ছে মূলত হিন্দু ভোটের উপর ভর করে। তাই শিবসেনা সেই হিন্দু ভোটে থাবা বসাবে। সেখান থেকে যে ভোটটাই বেরোবে, তাতে কপাল পুড়তে পারে বিজেপির। অন্যদিকে, আপের টার্গেট হচ্ছে তৃণমূল বিরোধী ভোট। বাংলায় ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোট কাজ না করায়, তৃণমূল বিরোধী মানুষের আস্থার জায়গাটা নিতে শুরু করে বিজেপি।

আর তাতেই লোকসভা নির্বাচনে বহু অঙ্ক পাল্টে যায়। বর্তমানে এই তৃণমূল বিরোধী মানুষের একটা অংশ আবার বিজেপির উপর বীতশ্রদ্ধ। কিন্তু অন্য কোনো ‘অল্টারনেটিভ’ না পেয়ে হয়ত বিজেপিকেই ভোট দেবে। ফলে, আপ টার্গেট করছে সেই ভোটটা – দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্বচ্ছ প্রশাসনের করে। ফলে, আপও কিন্তু আখেরে সেই বিজেপির ভোট কাটার অঙ্কেই ময়দানে নামছে। আর এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ করেই বিজেপির নবান্ন জয়ের স্বপ্ন চুরমার করতে চান প্রশান্ত কিশোর বলে তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!