দেশজোড়া করোনা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিতে চলেছে বাবা রামদেবের বিশ্বরেকর্ডের ‘স্বপ্ন’? জাতীয় March 24, 2020 ইতিমধ্যেই করোনা আতংকে দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সারা বিশ্ববাসীর কাছে এখন একটাই লক্ষ্য, কিভাবে করোনার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়! এই পরিস্থিতিতে ভারতে করোনা সংক্রমণকে আটকাতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। করোনা সংক্রমণ বিভিন্ন রাজ্যে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারিভাবে নোটিশ জারি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের কেউ যেন কোন রকম জমায়েতে শামিল না হন এই মর্মে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনামা উড়িয়ে এই মুহূর্তে বাবা রামদেবের লক্ষ্য অন্য। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আগামী 20 এপ্রিল গোয়াতে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রদের নিয়ে জমায়েত করার কথা ঘোষণা করেছেন বাবা রামদেব। জানা গেছে, গোয়ার জিএমসি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে আগামী 20 এপ্রিল এই জমায়েত হবে রামদেব বাবা এবং গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে। ইতিমধ্যে এই উদ্দেশ্য সাফল্যমন্ডিত করতে গোয়া সরকার প্রতিটি স্কুলে সার্কুলার পাঠিয়েছে ছাত্রদের এই ইভেন্টে যোগদান করার জন্য। আরও খবর, আগামী 15 ই এপ্রিল থেকে 19 শে এপ্রিলের মধ্যে জমায়েত করার জন্য চলবে স্কুলে স্কুলে মহড়া। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই জমায়েতের পেছনে রয়েছে পতঞ্জলি যুবা ভারতের উদ্যোগ এবং তার সাথে শামিল হয়েছে গোয়ার শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু যোগগুরু বাবা রামদেবের এই ইভেন্ট নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, বাবা রামদেবের এখন লক্ষ্য এই উদ্যোগের সাহায্যে এশিয়া বুক অব রেকর্ডে নাম তোলা। সারা দেশ জুড়ে যখন আতঙ্কের জেরে একের পর এক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানে গোয়ার স্কুলপড়ুয়াদের একজোট করে এধরনের জমায়েত করার পরিকল্পনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেশের স্বাস্থ্য মহল। তবে রাজনৈতিক মহলের আশা, প্রধানমন্ত্রী নিজে যেভাবে করোনা সংক্রমণ আটকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন, সেখানে বাবা রামদেবের পরিকল্পনা কোনোভাবেই যে বাস্তবে রূপায়িত হবেনা সে কথা নিশ্চিত। সারাদেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণ প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। বলা হচ্ছে, দেশ সংক্রমনের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এখান থেকেই করোনা মহামারীর আকার ধারণ করবে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশের দিকে লক্ষ্য রেখে ভারতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। লক্ষ্য এখন একটাই, করোনার জেরে ব্যাপক মৃত্যু-মিছিল আটকানো। আর তা সফল করতে প্রয়োজন দেশের সবার সহযোগীতা। আপনার মতামত জানান -